হাতিয়া - সুবর্ণচর উপজেলার আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ করায় তীব্র নিন্দা জানান - পাপিয়া বেগম।
মোঃএনায়েত হোসেন
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলার আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় দূর্নীতির মিথ্যা নিউজ করায় তীব্র নিন্দা জানান।
গত ৯ মার্চ কয়েকটি পত্রিকায় তাহসিন নামের একটা ছেলেকে দিয়ে হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা পাপিয়া বেগমের বিরুদ্ধে মিথ্যা দূর্নীতির নিউজ করায় তীব্র নিন্দা জানান। এদিকে কয়েকজন আনসার সদস্যের সাথে কথা হলে তারা জানান, একটি কুচক্রী মহল তাহসিন নামের ছেলেটাকে দিয়ে মিথ্যা একটা নাটক সাজিয়ে পাপিয়া বেগমের বিরুদ্ধে দূর্নীতির নিউজ প্রকাশ করেন কয়েকটি অনলাইন ও জাতীয় পত্রিকায় এবং ফেজবুকে লেখালেখির মাধ্যমে।
এছাড়া হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা পাপিয়া বেগম জানান, আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য আমাদের নিকট একটা চিঠি আসে জেলা আনসার ভিডিপি অফিস থেকে নির্দেশ আছে ৬ মার্চ ট্রেনিং এ লোক পাঠানো বাধ্যতামূলক, তার প্রেক্ষিতে আমরা ১ মার্চ থেকে লোকজন যাচাই বাঁচাই শুরু করি। যেহেতু আমি সুবর্ণচর উপজেলাতে নতুন আসছি সেজন্য আমাদের উপজেলা মহিলা টি আই রহিমা বেগমকে দায়িত্ব দেই। সে সকল লোকজন বাঁচাই করে প্রাথমিক ভাবে ১৫ জনের তালিকা তৈরি করে আমাকে দিলে, আমি স্বাক্ষর করি পরে হঠাৎ করে চিটি আসে ১০ জন পাঠানোর জন্য। তখন আমরা ঐ ১৫ জন থেকে বাঁচাই করে ১০ জনকে নোয়াখালী জেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসে পাঠিয়ে দেই।
কিন্তু তার নাম ছিল। আমরা যেদিন লোক পাঠাবো তার ৩ দিন আগ থেকে সে আমাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করে নাই এবং আমরা তাকে ফোনে যোগাযোগ করে পাইনি।পরে আমরা তাড়াতাড়ি ১৫ জনের মধ্যে ১০ জন পাঠিয়ে দিয়েছি। এদিকে লোক পাঠানোর ২ দিনপর সে আমার কাছে এসে যোগাযোগ করলে আমি তাকে বলেছি এখন আর কোন সময় নেই আগামীতে তোমাকে আমি ট্রেনিং করতে পাঠিয়ে দিবো তুমি যোগাযোগ রাখবে এবলে আমি তাকে বিদায় করে দিয়েছি। কিন্তু ৯ মার্চ রাতে আমার কাছে তানভীর ইরাক নামের একজন ফোন করে বলে, আমি তাকে ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে এবং ঐ ছেলেটাকে ট্রেনিং পাঠানোর ব্যবস্থা করতে।
পরে আমি তাকে বলি, কি করে সাহস হলো আমার কাছ থেকে আপনি টাকা চেয়েছেন ১ হাজার। আমি আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো।পরে সে রাতে আমার নামে ফেজবুকে মিথ্যা দূর্নীতির কথা লেখে স্ক্রিনসট দিয়ে পাঠিয়ে ভয় দেখায়।পরে আমার নামে মিথ্যা নিউজ করে কয়েকটি পত্রিকায়।
এবিষয়ে আমি হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন এর নিকট ফোনে অভিযোগ করি। তিনি আমাকে বলছে বিষয়টা আমি দেখবো এবং আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
পাপিয়া বেগম আরও জানান, প্রয়োজনে আমি হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো, কেন সে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে দূর্নীতির নিউজ করল তার জন্য আমি তীব্র নিন্দা জানাই।