মলাশয়ে ক্যান্সারের যত লক্ষণ
কোলন বা মলাশয়ে ক্যান্সারের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে লক্ষণগুলো জানা থাকা দরকার।
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
তরুণ বয়সেও কোলন বা মলাশয়ে ক্যান্সার হতে পারে।
‘কোলোরেক্টাল ক্যান্সার’ কেবল বয়স্কদের হয় বলে ধারণা করা হত। তবে সম্প্রতি ‘আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি’র করা গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৫ বছর বয়সের পাঁচজনের একজন এই রোগে আক্রান্ত।
এর সঠিক কারণ জানা না গেলেও, ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণার তথ্যানুসারে টাইমঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশত প্রতিবেদনে জানানো হয়, এর পেছনে রয়েছে পরিবেশ ও বংশগতির প্রভাব।
ঝুঁকিতে রয়েছে যারা
কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পারিবারিক ইতিহাসের সাথে যুক্ত। এছাড়া দেহের অতিরিক্ত ওজন কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
‘আমারিকান ক্যান্সার সোসাইটি’র ক্যান্সার পর্যবেক্ষক গবেষক, জ্যেষ্ঠ সায়েন্টিফিক পরিচালক ও গবেষণার প্রধান লেখক রেবেকা সিগাল বলেন, “তবে কেবল পাঁচ শতাংশ কোলোক্টেরল ক্যান্সারের জন্য দায়ী করা হয় অতিরিক্ত ওজনকে।”
অতিরিক্ত ওজন কোলন বা মলাশয়ের ডান দিকে টিউমার সৃষ্টি করে।
যদিও এই ক্যান্সার সোসাইটির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, টিমারের বৃদ্ধি ঘটেছে বাম দিকে।
‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়- অতিরিক্ত শর্করা, মিষ্টিপানীয় এমনকি প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া এই রোগ হওয়ার অন্যতম কারণ।
যেভাবে প্রভাব ফেলে
এই সকল বিষয় মাইক্রোবায়ামে’র (মানুষের পাচনতন্ত্রে প্রভাব বিস্তারকারী ব্যাক্টেরিয়া ও অন্যান্য অণুজীব) ওপর প্রভাব রাখে। এই ক্যান্সারের সূচনা হয় মলদ্বারে। এখানকার আস্তরণের সুস্থ কোষগুলো পরিবর্তিত হয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আর টিউমার দেখা দেয়।
সতর্কতার সংকেত
ক্যান্সারের শুরুতে ধরা পড়লে ৯০ শতাংশ রোগী বেঁচে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি’তে অবস্থিত ‘ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার’য়ের গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি, হেপাটলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন’য়ের সহযোগী অধ্যাপক রিড নেস বলেন, “রোগীর মলদ্বারে রক্তপাত ও ব্যাখ্যাতীত লৌহের ঘাটতি ঘটছে কি-না, তা দেখে নেওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে বয়সসীমা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।”
তরুণদের মধ্যে সাধারন লক্ষণ
কম বয়সে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণ হল- পেট ব্যথা, হঠাৎ ওজন কমা, মল ত্যগের মাত্রা, পরিমাণ ও আকারে পরিবর্তন এবং রক্তপাত।
লক্ষণগুলো হালকাভাবে নেওয়া যাবে না
‘হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল’য়ের মেডিসিনের অধ্যাপক এবং ‘ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল’য়ের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি’র সহকারী পরিচালক অ্যান্ড্রু চ্যান বলেন, “তরুণরা নিজেদের বয়সে সুস্থ বলে দাবি করেন। তাই এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলেও তা আমলে নেন না।”
সুস্থ থাকতে চাইলে দেহে এমন কোনো লক্ষণ দেখা দিলে, না এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সূএঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম