খুশীর ঈদ
রচনায়ঃ সৈয়দ ইসমাইল হোসেন জনি
ঈদের খুশী লাগলো মনে
খুশীর তুলনা নাই ,
ঈদ আনন্দ সবার সনে
ভাগ করে নিতে চাই ।
দীর্ঘদিনের রোজার শেষে
পালন করবো ঈদ ,
একে-অপরকে ভালোবেসে
ভুলে যাবো সব জিদ ।
ঈদের খুশী শেয়ার করে
আপনজনের সনে ,
একে-অপরকে বুকে ধরে
আনন্দ পাইবো মনে ।
এতিম ও অসহায় দের
রাখবো খোঁজখবর ,
সাধ্যমতো করবো তাদের
আদর,স্নেহ , কদর ।
ঈদ মানে আনন্দ অপার
ঈদ মানে মহাখুশি ,
ঈদের দিনে সবে সবার
নিরানন্দ যায় ঘুচি ।
সবারে করবো নিমন্ত্রণ
আনন্দে মন হাসবে ,
আত্মীয়স্বজন বন্ধুগণ
সদলবলে আসবে ।
মনের মানুষ আছে যার
ভালোবাসি যে-ই যাকে ,
সাধ্যমতো দিবো উপহার
সুপ্রিয় মানুষটাকে ।
হৃদয় থেকে প্রিয়জনকে
দেবো সবে উপহার ,
খুশী করবো তার মনকে
তুলনা হবেনা যার ।
কেউ যদি আসে বেড়াবার
করবো তাকে বরণ ,
ঈদের স্মৃতি খুব মজার
রাখবো সবে স্মরণ ।
ভালবাসা বিনিময় হয়
ঈদের আনন্দ ক্ষণে ,
মানব হৃদয় করো জয়
প্রাণপ্রিয় বন্ধুগণে ।
নতুন পোশাক গায়ে দিয়ে
ঈদগাহ মাঠে যাবো ,
জায়নামাজ মাঠে বিছিয়ে
আল্লাহর গান গাবো ।
ক্ষমা চাইবো আল্লার কাছে
ঈদের নামাজ শেষে ,
জীবনে যতো গুনাহ আছে
মুছে দিবে আল্লা হেসে ।
ঈদের আনন্দের বাসনা
প্রতি মানুষের মনে ,
করছি আমি শুভকামনা
সুখে থেকো সর্বজনে ।
সব বাধা ভয় তুচ্ছ করে
সম্মুখভাগে আগাও ,
কেউ থাকবে না অনাদরে
সময় কাজে লাগাও ।
যতো আসুক ঝড়-ঝাপটা
কখনো ভয় পাবেনা ,
ক্ষমা চাও করেছো পাপ-জা
আর পাপে জড়াবে না ।
আল্লাহর ভরসায় থাকো
ব্যার্থ হবে শয়তান ,
ঈমানকে মজবুত রাখো
হে-প্রিয় মুসলমান ।
খুশীর দিনে দুখের কথা
কখনো কেউ ভেবোনা ,
মনের মাঝের দুর্বলতা
প্রকাশ পেতে দেবোনা ।
মনকে চাঙ্গা রাখতে হবে
বিষন্নতা কেনো মনে ?
বিশাল এই সুন্দর ভবে
মিলে চলো সর্বজনে ।
মন মরাকে আল্লাহতালা
কখনো ভালোবাসে না ,
মনের মধ্যে থাকলে জ্বালা
কোনো কল্যাণ আসেনা ।
মানবতার কল্যাণে সবে
আত্মনিয়োগ করবো ,
মায়া-মমতার এই ভবে
সুন্দর বিশ্ব গড়বো ।
বিরহবেদনা ভুলে গিয়ে
আনন্দে হও সামিল ,
ঈদের খুশীর শিক্ষা নিয়ে
দুশ্চিন্তা করো বাতিল ।
এস.আই.জনি ভেবে বলে
শোনো প্রিয় বন্ধুগণ ,
ভেসোনা আর নয়নজলে
ভালো কাজে দাও মন ।
ঈদের আনন্দ করো সবে
মুছে ফেলে সব জিদ ,
বছর ঘুরে আবার ভবে
এসেছে খুশীর ঈদ ।