সোনাগাজীতে হোমিও ডাক্তার মিজান হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন।
আবদুল্লাহ আল মামুন:
মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে ফেনীর সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ও ছাড়াইতকান্দি হোসাইনিয়া মাদ্রাসা ছাত্র শিক্ষকের ব্যানারে আয়োজিত সোনাগাজী পৌর-শহরের জিরো পয়েন্টে, ফেনীর সোনাগাজীতে হোমিও ডাক্তার মিজান হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে আল মানার একাডেমির সহকারী শিক্ষক আবদুল্লাহ আল সায়েম আরমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ছাড়াইতকান্দি হোসাইনিয়া মাদ্রাসার সুপার মাওলানা এসএম নুর নবী, সহ-সুপার মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালনা কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলার হোমিও চিকিৎসকদের পক্ষে ফেনী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. শুকলাল দেবনাথ, এলাকাবাসীর পক্ষে মতিউর রহমান, স্বজনদের পক্ষে ভাতিজি নিলুপা আক্তার, ভাতিজা মোবারক হোসেন আরিফ, শ্বশুর অলি উল্লাহ ও কলিম উল্লাহ নিশান।
মানববন্ধনের এক পর্যায়ে নিহত ডাঃ মিজানের দুই শিশু সন্তান সাইফ উদ্দিন (১১) ও সাহিদা ইসলাম অহি (০৯) ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে পিতার খুনিদের বিচার দাবীতে কান্না শুরু করলে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শিশুদ্বয় তাদের পিতার হত্যাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক সুবিচার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
মানববন্ধনে প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানানো হয়।
নিহত মিজানুর রহমান মনগাজী বাজারের হোমিও চিকিৎসক ও বাজার কমিটির সদস্য। তিনি ছাড়াইতকান্দি হোছাইনিয়া দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য ও ছাড়াইত কান্দি গ্রামের কালা সোবহানের বাড়ির মৃত নুরুল হুদার ছেলে।
উল্লেখ্য আম পাড়াকে কে কেন্দ্র করে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৫মে শুক্রবার ডাঃ মিজানুর রহমান ও তার তিন ভাইয়ের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে তাদের কে লোহার রড, চুরি ও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের কে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাঃ মিজান কে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এবং অপর দুই জন কে ফেনী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন দায়িত্বরত চিকিৎসকরা। একই দিন বিকালে চিকিৎসারত অবস্থায় ডাঃ মিজানের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় নিহত ডাঃ মিজানের ভাই আবু তৈয়ব বাদী হয়ে নিজাম উদ্দিন সবুজ, জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন, আজগর হোসেন, মাইন উদ্দিন মামুন সহ ২১জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ১০জনের নামে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ওই ঘটনায় চারজন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।