সবার কথা বলে

ঈদুল আযহার বিশেষ আকর্ষণ ‘কালা পাহাড়’    

0 754
মাগুরার শ্রীপুরে এবারের ঈদুল আযহার বিশেষ আকর্ষণ ‘কালা পাহাড়’     

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলাবাসীর নজর কেড়েছে প্রায় ৩০ মণ ওজনের ষাঁড় ‘কালা পাহাড়’। এই ষাঁড়টির মালিক উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি, শ্রীপুর উপজেলা ডেইরী এসোসিয়েশনের সভাপতি খামারি মনিরুল ইসলাম। গত ৪ বছর ধরে মনিরুল ইসলাম এই হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি লালন পালন করেছেন।

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে তিনি এই ষাঁড়টি বিক্রি করবেন। ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে ভিড় করেন খামারি মনিরুল ইসলাম বাড়িতে। তবে এখন পর্যন্ত এই ষাঁড়টির কোনো ক্রেতা দাম হাঁকাননি বলে জানিয়েছেন এই খামারি। ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতা ও ৮ ফুট লম্বা এই ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৩০ মণ। ষাঁড়টি দেখতে কালো বর্ণের হওয়ার কারণে খামারি মনিরুল ইসলাম ষাড়টির নাম দিয়েছেন ‘কালা পাহাড়’।
কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুষি, ভুট্টা, ডালের গুড়া, খড়, চিটাগুড় খাওয়াইয়ে প্রাকৃতিকভাবে ষাঁড়টি লালন পালন করেছেন বলে জানিয়েছেন খামারি মনিরুল ইসলাম।
তিনি আরো বলেন, ৪ বছর ধরে ষাঁড়টি লালন পালন করতে আমার প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন ষাঁড়টির পেছনে আমার ৮’শ টাকা খরচ হয়। আমি ১০ লাখ টাকা হলে ষাঁড়টি বিক্রি করবো।
উপজেলার নোহাটার গ্রামের  খামারী ইউসুফ বলেন, আমার জীবনে আমি এত বড় গরু দেখেনি। আমার মনে হয় মাগুরা জেলা মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় গরু। মনিরুল ইসলাম অনেক কষ্ট করে এই গরুটি লালন পালন করেছেন। তিনি যদি এই গরুটি এখন ভালো দামে বিক্রি করতে না পারেন তাহলে তিনি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।  উপজেলা প্রাণিসম্পদের উপ সহকারী ডাঃ ফরিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ উপজেলার সকল খামারিকে বিভিন্ন পরামর্শ ও চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছি। মনিরুল ইসলাম একজন সফল খামারি। আশা করি তার ষাড়টি এবার ভাল মূল্যে বিক্রি হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ভেটেনারী সার্জন ডাঃ সুশান্ত চন্দ্র রায় বলেন, খামারী  মনিরুল ইসলাম বাড়িতে গিয়ে মনিরুল ইসলাম  মতো অনেক খামারিই আমাদের কাজ থেকে পরামর্শ নিয়ে ষাঁড় পালন করেছেন। এরা যদি এ বছর ষাঁড়গুলো বিক্রি করে লাভবান হয় তাহলে আগামীতে এদের মতো অনেকেই ষাঁড় পালনে করতে আগ্রহী হবেন।
মিরাজ শেখ – মাগুরা

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.