
নোয়াখালীতে তিন সরকারি চাকুরিজীবীর বিরুদ্ধে বাণিজ্যিকের অভিযোগ উঠছে।
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে সরকারী চাকুরীজীবি বাংলা প্রভাষক, প্রাঃবিঃ প্রধান শিক্ষক ও পঃ পরিকল্পনা ইউনিয়ন ডাক্তার সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক অভিযোগ আাসে।
সূর্বণচর উপজেলায় ৩ জন সরকারী চাকুরীজীবির বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর জমি অবৈধ ভাবে দখল,উপজেলা সমবায় থেকে রেজিষ্ট্রেশান বা,লাইসেন্স করে নেওয়া মাল্টি পারপাস কো – অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ ২০/০১/২০০৯ সালে অনুমোদন করেছে। যার নিবন্ধন নং ০১/০৯,যাহা এই ৩ জন সরকারী চাকুরীজীবি নিয়েছে কিন্তু সরকারী আইনে বলা আছে কোন সরকারী চাকুরীজীবী তার চাকুরী থাকা চলাকালীন সময় সে কোন প্রকার সমবায় থেকে মাল্টি পারপাস কো- অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ অনুমোদন নিতে পারেনা।তা সম্পূর্ণ বেআইনি। তারপরও কিভাবে তারা সরকারকে ফাঁকি দিয়ে এই অনুমোদন নেয়া হয়েছে জানতে চাই স্থানীয় জনগণ। এদিকে চাকুরীর ডিউটি ফাঁকি দিয়ে নিজের নামে গড়া ঐ প্রতিষ্ঠানে সময় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এছাড়া মানুষকে নানা ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার বা ভয় দেখিয়ে সরকারী ১নং আশ্রয়ন প্রকল্পের জমি আর্থসাৎতের অভিযোগ পাওয়া যায় প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল আজিজ এর বিরুদ্ধে।ঐ প্রতিষ্ঠানের ১ একর সম্পত্তি তার নামে নামজারী করেন বাকি সম্পত্তি প্রতিষ্ঠানের নামে করেন বলে শিকার উক্তি দেন।
এদিকে সুবর্ণচর উপজেলা সমবায় থেকে ও ঐ রেজিষ্ট্রেশান পাওয়া প্রতিষ্ঠানটি অডিট করে যান,সূর্বণচর উপজেলা সহকারী অডিট অফিসার ও সহকারী পরিদর্শক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন। অনুমোদন নিয়েও সরকারী চাকুরীর ডিউটি রেখে নিজের নাইট হাউজ আইডিয়াল মাল্টিপারপাস কো- অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এ দিনভর সময় দিয়ে যাচ্ছে।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর একই অভিযোগ উঠে।আব্দুর রহিম দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সে তার কর্মরত পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কাজ ফাঁকিবাজি করে নিজ মালিকানা প্রতিষ্ঠানে এসে সারাদিন সময় দেন।কোন দিন তাকে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা অফিসে এসে রোগীরা এবং এলাকার লোকজন পাইনি বলে অভিযোগ করেন নাম না বলতে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী।
এদিকে সোনাইমুড়ী সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মহিব উল্যাহ ভুট্টো তিনিও সরকারী চাকুরী ফাঁকি দিয়ে উপজেলা সমবায় থেকে রেজিঃ নিয়ে ঐ মাল্টিপারপাস এর মালিক হন এই তিনজন সরকারী কর্মচারী। এছাড়া আব্দুল আজিজ সেও একটি ভুয়ারহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে রয়েছেন এই দুইজনের সাথে হাত মিলিয়ে নিরীহ লোকজনের জমিজমা আর্থসাৎ করে কোটি টাকার মালিক হন এবং ঐ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে যে সম্পত্তি সে ভোগদখল করে খাচ্ছে নিজেদের নামে নামজারী করে।এছাড়া সরকারী আশ্রয় প্রকল্পের জমি জবর দখল করেন।স্থানীয় গরীব অসহায় লোকদের আশ্রয় প্রকল্প থেকে মেরে উচ্ছেদ করে দেন।পরে তারা তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় সূর্বণচর উপজেলায় মানববন্ধন ও মিছিল বের করেন গত ১৬ ই অক্টোবর ২০২২ ইং
কয়েকজন ভোক্তভুগী অভিযোগ করে বলেন,আমরা গ্রামে গিয়ে ভিক্ষা করি আমাদের কোন সয়সম্পত্তি নেই এই তিনজন আমাদের জায়গাজমি হুমকি দিয়ে জবর দখল করে নিয়ে যায়।আমরা কিছু বললে আমাদের হুমকি দেয় প্রাণে হত্যা করবে।এদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগ ৩জন লোক সরকারী চাকুরী করে একটা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয় এবং সরকারী কাজ রেখে তাদের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে সময় দিচ্ছে। এগুলো সরকারী কর্মকর্তাদের চোখে পড়েনা।তারা কিভাবে সরকারী কলেজের ক্লাস,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস,পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কাজ ফাঁকি দিয়ে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে সময় দিচ্ছে দিনরাত।তাদের এই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স গুলো বাতিল করার দাবিতে এবং অবৈধ ভাবে ১ নং আশ্রয়ন প্রকল্পের জায়গা দখল,নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাল জমি প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ তার নিজ নামে রেকর্ড করে নেন বা নামজারী করেন এ বিষয়ে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল এবং তার শাস্তির দাবি করেন।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,মুঃ মহিব উল্যাহ খান ভুট্টো(৩৮) সাহেব বাজার,ছমির হাট,পূর্ব চরবাটা, চর জব্বর, সুবর্ণচরে এ,কে,এম হাফিজ উল্যাহ ছেলে।তিনি প্রভাষক,বাংলা বিভাগ,সোনাইমুডি সরকারী কলেজ,
লাইটহাউজ ডায়াগনস্টিক এর মালিক,
লাইটহাউজ মাল্টিঃ লিঃ মালিক
সুবর্ণ ডেপালপমেন্ট আবাসন কোম্পানির মালিক
হোমিওপ্যাথিক মালিক।
আবদুল আজিজ (৪৫) তিনি
২ নং ওয়ার্ড, চরবাট খাসের হাট, চরবাটা, সুবর্ণচর নোয়াখালীর মোস্তফা কামালের ছেলে।তিনি
এম এ কামাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং এয়ারনেট কুরিয়ার কোম্পানির মালিক
লাইটহাউজ ডায়াগনস্টিক এর মালিক ও ফিনেন্স ডিরেক্টর
লাইটহাউজ মাল্টিঃ এর মালিক।
ডাঃ আবদুর রহিম পরিবার পরিকল্পনা মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কমিউনিটি ক্লিনিক এ কর্মরত আছে।এছাড়া তিনিও এই ৩ জনের সাথে ঐক্যজোট করে এই প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিক হন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজ বলেন,এটা যখন রেজিষ্ট্রেশান নিয়েছিলাম তখন আমার চাকুরী ছিলনা,এই লাইসেন্স বাতিল করার জন্য উকিলের মাধ্যমে আবেদন করেছি।এছাড়া স্কুলের জমির যে সমস্যা ছিল ঐ সমস্যা স্কুলের পাশে একটা লোক আমাদের স্কুলের জমি কেটে নিয়েছিল তখন আমি ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কারণে সে আমাকে পাশানোর জন্য এসব নিউজ করেছে বলে জানান।
ডাক্তার আব্দুর রহিমের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগের দায় স্বীকার করে জানায় সরকারি চাকরি করেও পাশাপাশি সরকারের অনুমোদন নিয়ে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়া যায় তাতে কোন সমস্যা নাই। কে কি বলে,তা আমাদের দেখার বিষয় না।এদিকে সোনাইমুড়ী সরকারি কলেজের বাংলা প্রভাষক মোঃ মহিব উল্লাহর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।