0 454
মাগুরার শ্রীপুরে রাতের আধারে ১শ’ কলা ও পেঁপে গাছ কেটে ফেলেছে দু-র্বৃ-ত্ত-রা।
মোঃ মিরাজ শেখ -(স্টাফ রিপোর্টার):
মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নে একশো কলা ও পেঁপেগাছ কেটে নষ্ট করে দিয়েছে দু’র্বৃ’ত্ত’রা। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার চর মহেশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি, সামাজিক দলাদলির কারণে শত্রুতাবশত প্রতিপক্ষের লোকজন কলা ও পেঁপে গাছ কেটে ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তাঁদের ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে জানা গেছে, দারিয়াপুর ইউনিয়নের চর মহেশপুর দিপচর এলাকায় কৃষক আফসার মোল্যার ৩০ শতাংশ জমি। এ জমিতে তিনি বাণিজ্যিকভাবে কলার ও পেঁপের চাষ করেছিলেন। আর এই ৩০ শতাংশ জমির একশো ধরন্ত কলা ও পেঁপের গাছ কেটে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। কৃষক আফসার মোল্যা বলেন, ‘সকালে জমিতে গিয়ে দেখি, বাগানের একশো কলাগাছ ও পেঁপে গাছ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে।
কলাগাছে থোড় আসা শুরু করেছিল এবং পেঁপে গাছে প্রচুর পেঁপে এসেছিলো। এখন আমার মাথায় হাত।’ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা বলেন, তারা বর্তমান ইউপি সদস্য ওয়াজেদ আলী মন্ডলের সঙ্গে সামাজিক দল করেন। তাঁদের প্রতিপক্ষ ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়ারুল শেখ দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক তোজাম্মেল সহ বিএনপি’র লোকজনের সাথে নিয়ে সামাজিক দলের নামে এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করে প্রভাব বিস্তার করেন।
সামাজিক দলাদলির কারণেই শত্রুতাবশত ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়ারুল শেখের নেতৃত্বে ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক তোজাম্মেলসহ একই গ্রামের পাঞ্জু, তপন, দলিল, অনিক, জামাল ফুরকান মোল্যা, সালাম মোল্যাসহ আরো অনেকেই জমির ধরন্ত কলা ও পেঁপে গাছ কেটে নষ্ট করেছে।আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
অভিযুক্ত ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়ারুল শেখ জানান, আমাদের বিরুদ্ধে আফছার মোল্যার কলা ও পেঁপে গাছ কাঁটার অভিযোগটি মিথ্যা। এটি ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমি এবং আমার দলীয় লোকজনদের ফাসানোর একটি চক্রান্ত। স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়াজেদ আলী মন্ডল বলেন, গত রাতে কৃষক আফছার মোল্যার কলা গাছ ও পেঁপে গাছ কাটার ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই।
এঘটনার বিষয়ে দারিয়াপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই খান মারুফুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।