পবিত্র আশুরা
রচনায় : সৈয়দ ইসমাইল হোসেন জনি
আশুরায় এ জগত সৃষ্টি
ধ্বংসও হবে আশুরায় ,
আল্লাহ্র করুণার দৃষ্টি
রেখেছেন নিজ মহিমায় ।
বহু কাহিনীতে ভরপুর
পবিত্র আশুরার এ দিনে ,
নানাবিধ ঘটনা প্রচুর
বোঝেনা কেউ বিবেক বিনে ।
আশুরার দিনে কান্না আসে
ইমাম হোসেনের ইন্তেকালে ,
আল্লার নেক উদ্যেশ্য আছে
মারা গেছেন তিনি অকালে ।
দয়াল নবীর প্রিয় নাতি
শহীদ হলো কারবালায় ,
শোকে কাতর মানবজাতি
বুক ফেটে যায় যন্ত্রনায় ।
ইমাম হোসেন প্রাণ দিলো
কুচক্রী ইয়াজিদের হাতে ,
মুসলিম বিশ্ব কেঁদেছিলো
হোসেনের সেই শাহাদাতে ।
বীরের মতো লড়াই করে
শহীদ হলো কারবালায় ,
ঈমানদারের অশ্রু ঝরে
কাঁদে মরুর লু-হাওয়ায় ।
আল্লাহ্ ব্যতীত কারো কাছে
করেনি হোসেন শীর নতো ,
শ্রদ্ধাভরে তাকে ভালবাসে
আল্লাহ্ প্রেমিক আছে যতো ।
প্রাণপ্রিয় ইমাম হোসেন
ভাগ্যের ফেরে শহীদ হলো ,
আল্লাহ্ সব ভালো বোঝেন
সকলে মুখে কালেমা বলো ।
মহরমের দশ তারিখে
হৃদয় বিদারক ঘটনা ,
ক্ষমা করেছে হত্যাকারীকে
মোটেও নয় মিথ্যা রটনা ।
ঈমানী মুসলিম বাহিনী
আজো হোসেনকে ভালবাসে ,
কারবালার করুণ কাহিনী
স্বর্ণাক্ষরে লেখা ইতিহাসে ।
আশুরা বলে দুনিয়া বাসী
এ দিনটিকে পালন করে ,
বুকে জমানো কষ্টের রাশি
অশ্রু হয়ে সদা ঝরে পড়ে ।
পানি বিনে নবীর বংশ
ইমাম হোসেন দুনিয়ায় ,
নির্মমভাবে হলো ধ্বংস
আঘাত হানলো কলিজায় ।
নরপিশাচ ইয়াজিদের
ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ,
মুসলিম নেতা হোসেনের
অমূল্য জীবন গেলো ক্ষয়ে ।
শোকাহত মুসলিম বিশ্ব
প্রিয় হোসেনের ইন্তেকালে,
নিজেদেরকে ভাবছে নিঃস্ব
অশনিসংকেত কপালে ।
মা ফাতেমার নয়নমণি
হযরত আলীর সন্তান ,
শ্রদ্ধাভরে এস.আই.জনি
অকুণ্ঠচিত্তে করে সম্মান ।
পাহাড় সমান ব্যথা বুকে
বোঝানোর কোনো ভাষা নাই,
কাদঁছি সদা মনের দুঃখে
ওগো দয়াল মালেক সাঁই ।
পেতাম যদি হাতের কাছে
পাষণ্ড নির্বোধ এজিদেরে ,
ঝুলাইতাম চড়কগাছে
শোধ লইতাম জুতা মেরে ।
কখনো দেবোনা বৃথা যেতে
প্রাণপ্রিয় হোসেনের রক্ত ,
হোসেন সবার হৃদয়েতে
বিবেকবানে হোসেন ভক্ত ।
আকাশ বাতাস আজো কাঁদে
কারবালার নির্মম শোকে ,
নিদারুণ সেই বেদনাতে
ব্যথায় কাতর সর্বলোকে ।
এমনি ভাবে আশুরা আসে
শোকের বার্তা বহন করে ,
চোঁখের জলে বুকটি ভাসে
অঝোর ধারায় অশ্রু ঝরে ।
হোসেন( রাঃ) কে এজিদ বাহিনী
পানিতে কষ্ট দিছেন চরম ,
ইতিহাসের সেই কাহিনী
শোকের মাস এ মহরম ।
সে ঘটনা বিশ্ব চরাচরে
সকলে জানে শিশু ও বুড়া,
দু:খের স্বাক্ষী বহন করে
মহা পবিত্র এই আশুরা ।
রচনাকাল : ২১/০৯/২০১৮ ইং শুক্রবার ।