সবার কথা বলে

গ্রেনেড হামলার নিহতদের স্মরণে সৈয়দপুরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

0 386
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নিহতদের স্মরণে সৈয়দপুরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।
মো: মাসুদুর রহমান-(নীলফামারী):
ভয়াল বিভীষিকাময় ২১ শে আগস্ট ভয়াবয় গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ও গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের স্মরনে নীলফামারীর সৈয়দপুরে আ’লীগ উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে সোমবার (২১ আগস্ট) রাত ৮টার সময় স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোখছেদুল মোমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন-২৩ এর সাংসদ রাবেয়া আলীম।
আ’লীগ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মো: মহসিনুল হকের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী, একেএম রাশেদুজ্জামান রাশেদ, সাধারন সম্পাদক মো: মহসিনুল হক মহসিন,সৈয়দপুর পৌর শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, সাধারন সম্পাদক মোজাম্মেল হক, অন্যতম আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন খোকন, বীর-মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন বেগ প্রমূখ। এ অনুষ্ঠানে উপজেলা ও পৌর শাখার নেতা-কর্মিসহ সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভা মেয়র রাফিকা আখতার জাহান।
১৯ বছর আগে ২০০৪ সালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামীলীগের সমাবেশে ঘটে এক ভয়াবহ ট্রাজেডি। সেদিনের সেই গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং অন্তত ৩০০ জন আহত হয়। ওই নৃশংস ঘটনায় মৃত্যুর হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বক্তব্যে নেত্রবৃন্দরা বলেন একমাত্র আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতেই সেইদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিলেন। তারা বলেন সে সময় মানবঢাল হিসেবে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেহরক্ষী মাহবুব রশিদ ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও জীবন রক্ষা হয়নি। মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভী রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকার মেয়র মোহাম্মদ হানিফ গুরুতর আহত হয় শরীরের বিভিন্ন অংশে ও মস্তিষ্কে গ্রেনেডের স্প্রিন্টার ঢুকে যায়।
আরো আহত হন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ শত শত নেতাকর্মী। সে সময় আওয়ামী লীগের নেতারা একাধিক থানায় গেলেও তাৎক্ষণিক মামলা নেওয়া হয়নি। এভাবেই আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করে দেওয়ার চক্রান্তই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.