সবার কথা বলে

বেশী বেশী বই পড়লে, মানসিক চাপ কমবে

0 290

বেশী বেশী বই পড়লে
মানসিক চাপ কমবে

মুহাম্মাদ মাইনুল ইসলাম:

বই পড়লে মানুষের মানসিক চাপ হ্রাস পায়,বই পড়ার মাধ্যমে আপনি ফিরে পেতে পারেন একটা মানসিক চাপমুক্ত জীবন।
বই পড়ার উপকারিতা আমারা কম বেশি সকলেই জানি, বই পড়লে জ্ঞান ও বুদ্ধি বাড়বে সে বিষয় কোন সন্দেহ নেই। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে বই পড়ার অভ্যাস করুন।

বর্তমান প্রজন্ম বেশি মাত্রায় ভুগছে মানসিক চাপে,যা বই পড়ার অভ্যাস এ-ই সমস্যা সমাধান করতে পারে, কিভাবে কাজে আসে তা হলো একাধিক কোস্ট স্টডিতে একথা প্রমানিত হয়েছে , বই পড়ার সময় মন খুব শান্ত থাকে ফলে মানসিক চাপ কমতে সাহায্য করে।

বই পড়ার সময় ব্রেনের হাজারো নিউরন বেশি বেশি করে কাজ করতে শুরু করে ফলে সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
এমনটা হলে একদিকে যেমন বুদ্ধির বিকাশ ঘটে তেমন মানসিক চাপও কমে, কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায় । নিয়ে যায় এক কল্পনার জগতে এবং ভাবতে শেখায় দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তন করে আত্মার প্রশান্তি জোগায়,
যেহেতু বই আমাদের জ্ঞান ও মানসিক চাপ কমায় সেহেতু বই হতে পারে আমাদের জীবনের একনিষ্ঠ বন্ধু।

তাছাড়া মস্তিষ্কের জন্য ভালো একটা ব্যায়াম,গল্পের প্লট বা ইতিহাস আমাদের স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, চিন্তার দক্ষতা বাড়ায়।
বই আপনাকে নিয়ে যেতে পারে বিশ্বের যে কোনো স্থানে, যেখানে আপনি যেতে চান। বইয়ের মাধ্যমে আপনি যেতে পারেন অতীত কিংবা ভবিষ্যতে। আপনার মানসিক চাপ কমাতে এ বিষয়টি কাজে আসবে। খানিকক্ষণের জন্য হলেও আপনার দুশ্চিন্তা ভুলিয়ে দেবে বই। সারাদিনের পরিশ্রমের শেষে এক ঘণ্টা বই পড়া আপনার প্রয়োজনীয় স্বস্তি এনে দিতে পারে।

বই পড়া একটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কাজ। আপনার অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বৃদ্ধিতে এটি তেমন প্রভাব ফেলবে না। এতে আপনার শরীর বিশ্রামের একটি সুযোগ পাবে। আপনার হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপও বই পড়লে সেভাবে পরিবর্তিত হবে না। মানসিক চাপের মধ্যে তাই বই পড়া এতে দিতে পারে শান্তির পরশ।

চিন্তার খোরাক দেয়
ভালো বই আপনাকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করবে। এ ধরনের বই শুরুর পর তা শেষ করার তাগিদ অনুভূত হবে। এতে বইটি যখন আপনি পড়বেন না, তখনও বইটির চিন্তা আপনার মনে থাকবে। ফলে আপনার চিন্তার খোরাক হিসেবে কাজ করবে বইটি। এতে মানসিক চাপযুক্ত পরিবেশেও চিন্তা ভিন্নদিকে সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন আপনি।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.