0 292
পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর শ্রীপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজের উন্নয়ন।
মোঃ মিরাজ শেখ – (মাগুরা):
মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের কুছাইছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, ৪র্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পি. ই. ডি.পি-৪) প্রকল্প বরাদ্দের নতুন ভবনের কাজ চলছে। এই কাজের ভিত্তি প্রস্তর ৩ তলা ফাউন্ডেশনের তবে কাজ করা হবে ২ তলা পর্যন্ত। ভবন নির্মাণ কাজে প্রথমদিকে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হলে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে কাজ বন্ধ হয়ে যায় বর্তমানে ভালো মানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে।
শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে কুছাইছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে দেখা যায়, ইটের খোয়া, রড, বালি, এক্সেভেটর গাড়ি, ঢালাই মেশিন সহ মালামাল আছে এবং শ্রমিক লোকজন বসে ছিলো। কুছাইছাপুর গ্রামের এলাকাবাসীর বেশ কয়েকজন লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, আগের থেকে বর্তমান সময়ে খুব ভালো মানের কাজ হচ্ছে। গ্রামের আব্দুর রইচ (৬৫) নামে একজন জানান, এখন বর্তমানে কাজ ভালো হচ্ছে আর ইটের প্রাচীরটি রক্ষা করতে হলে দ্রুত কাজ করে মাটি ভরাট করতে হবে। হাবিবুল ইসলাম (৪২) নামে একজন জানান, আজকে শ্রীপুর ইউএনও আসছিলেন পরিদর্শন করতে। আমাদের এলাকার সবার কাজ এটা, কাজটা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হোক এটা আমরা সবাই চাই। আমাদের স্কুলের প্রাচীর নিয়ে খুব সমস্যা ও ঝামেলা চলতেছে, আপাতত পিলার বা কলম হয়ে গেলে মাটি গুলো গড়িয়ে চারপাশে দিলে প্রাচীর না ভাঙ্গে সেটাই আমরা এলাকাবাসীর সবাই চাই কাজটা ভালো হোক।
নাসিম মন্ডল (৬০) নামে একজন বলেন, বর্তমান কাজ ভালো হচ্ছে আর পাঁচিলটি রক্ষা করতে হলে দ্রুত কাহ করে মাটি ভরাট করতে হবে। এছাড়াও আরও অনেক লোকজন একই বক্তব্য প্রদান করে কাজ এখন খুবই ভালো মানের হচ্ছে। শ্রীপুর উপজেলার প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার মোঃ নাসির শিকদার জানান, ঘটনার সূত্রপাত হলো কিছু দিন পূর্বে কাজ চলমান অবস্থায় বকুল ম্যানেজারের সাথে এলাকাবাসীর বাকবিতন্ডা হয় সে দিন বেজ ঢালাইয়ের কাজ হচ্ছিলো। তখন ঐ বাউন্ডারীর উপর শাকিল নামের ছেলে উঠেছিলো এবং বকুল ম্যানেজারের সাথে হাতাহাতি হয় ছেলেটার। এরপর গ্রামের লোকজনসব একদিকে হয়ে ম্যানেজার বকুলের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে আমি ঘটনা স্থানে যায় এবং ঐ দিন কাজ আর হয়নি।
পরবর্তী দিনে কাজ আবার শুরু হওয়ার পর গ্রামবাসীরা মিথ্যা অভিযোগ দেয়। আজকে আমরা মাটি ভরাট করার জন্য এক্সেভেটর গাড়ি নিয়ে রাখছি, কারণ আগামীকাল মাটি দিয়ে শর্ট কলম দিয়ে মাটি দিলে প্রাচীরটি বাঁচানো ও রক্ষা করা সম্ভব হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এলজিইডি কোন রকম কাজে অনিয়ম করে না এবং কাজগুলো গ্রামের লোক প্রতিনিধি থেকে ঢালাই করা হয়েছে। ইউএনও, ইঞ্জিনিয়ার সহ সংশ্লিষ্ট সবার তত্ত্বাবধানে কাজ অব্যাহত আছে। স্থানীয় সরকার, মালামাল টেস্ট বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই কাজগুলো সঠিক ভাবে করে থাকে। এখন কাজগুলো সঠিক ভাবে করা হচ্ছে। শ্রীপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, ইউএনও মহোদয় বলেছেন যত দ্রুত সম্ভব ভালো মালামাল দিয়ে কাজটা দ্রুত উঠিয়ে দিতে হবে এবং পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ করতে হবে।
শ্রীপুর উপজেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাফিন শোয়েব জানান, কুছাইছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজটা দ্রুত করে মাটি না দিলে ইটের পাঁচিলটি ভেঙ্গে পড়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, একটা গ্যাঞ্জাম-ফ্যাসাদের সূত্রপাত ধরে একটা ঘটনা ঘটেছে। আসলে কাজের মান একেবারে খারাপ ছিলো না। কাজ ইনশাআল্লাহ আগামীকাল থেকে চলমান থাকবে এটা শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মহোদয় বলেছেন। আর এদিকে কুছাইছাপুর গ্রামের যে সমস্ত লোকজন নেগেটিভ ধারণা বক্তব্য দিয়ে ছিলেন। সে সমস্ত লোকজনরা এখন কাজ ভালো হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানান ও ক্যামেরায় বক্তব্য প্রদান করেন।