0 260
সৈয়দপুরে তফসীল বর্ণিত পৈত্রিক জমি জবরদখল সহ মারধরের অভিযোগ, গুরুতর আহত ৩।
মোঃ মাসুদুর রহমান – (নীলফামারী):
নীলফামারীর, সৈয়দপুরে তফসীল বর্ণিত পৈত্রিক জমি জবরদখল সহ মারধরের অভিযোগ, গুরুতর আহত ৩ এছাড়াও ৭০০ টি ইউকালিস্টার্স গাছের চাড়া উপড়াইয়া ক্ষতিসাধনের অভিযোগ সৈয়দপুর থানায় করা হয়।
উক্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় সদিলালপুর বিন্দিরধর, মোঃ খেতাব উদ্দিন (৬৫),পিতা- মৃতঃ আলেক উদ্দিন প্রামানিক , নিম্ন তফসীল বর্ণিত জমি তার স্ত্রী মোছাঃ মমতাজ, পৈত্রিক ও বি.এস রেকর্ড মূলে মালিক। উক্ত জমিতে ইতিপূর্বে ৭০০টি ইউকালিস্টার্স গাছের চারা রোপন করা হয়। মোঃ আজিজার রহমান (৬৫), পিতা- মৃতঃ কবির উদ্দিন, সাং- লক্ষনপুর গুড়পাড়া, কামরুজ্জামান (৬০), পিতা- মৃতঃ শাহান উদ্দিন, মোঃ আনোয়ার (৩০), পিতা- মোঃ কামরুজ্জামান, উভয়ের সাং- কামারপুকুর বাগডোকরা, মোঃ জাহাঙ্গীর (২৫), মোঃ আলমগীর (২৩), মোঃ পলাশ (২০), সকলের পিতা- মোঃ আজিজার রহমান, মোঃ রানা (২৫), মোঃ রাফী (২২), উভয়ের পিতা- আব্দুর রহমান, সকলের সাং-লক্ষপুর চড়কপাড়া, সকলের থানা-সৈয়দপুর, জেলা-নীলফামারী । তফসীল বর্ণিত জমির ভুয়া মালিকানা দাবি করে জবর দখলের পায়তারা সহ জমিতে লাগানো ৭০০টি গাছ উপড়াইয়া ক্ষতি সাধন করে। অভিযোগে জানান গত ০১/১০/২০২৩ তারিখ বেলা অনুমান ১১.০০ ঘটিকা বিকাল ০৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত আমি ও আমার স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ে তফসীল বর্ণিত জমিতে ৫০০টি ইউকালিস্টাস গাছ লাগাই। গত ০১/১০/২০২৩ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত তারা সহ অজ্ঞাত নাম না জানা ৫/৭ জন বিবাদী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শলাপরামর্শ পুর্বক হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী জনতার দলবদ্ধভাবে সৈয়দপুর থানাধীন বাকডোকরা মৌজাস্থ আমার স্ত্রীর পৈত্রিক মূলে প্রাপ্ত নিম্ন তফসীল বর্ণিত জমিতে অনধিকারে প্রবেশ করে মোঃ আজিজার রহমান (৬৫) হুকুমে তারা জমিতে নতুন করে লাগানো ৫০০টি ও পূর্বের ৭০০টি গাছ উপড়াইয়া ফেলে অনুমান ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকার ক্ষতি সাধণ করে। আমি বাধা নিষেধ করিতে গেলে মোঃ আজিজার রহমান (৬৫),কামরুজ্জামান (৬০) আমাকে মার ডাং করে এবং কামরুজ্জামান (৬০) আমার পকেটে থাকা ৫,৩৭৫/- (পাঁচ হাজার তিনশত পঁচাত্তর) টাকা জোর পূর্বক বাহির করিয়া নেয়। আমার স্ত্রী মোছাঃ মমতাজ আগাইয়া গেলে মোঃ জাহাঙ্গীর (২৫), মোঃ আলমগীর (২৩), মোঃ পলাশ (২০), আনোয়ার (৩০) আমার স্ত্রীর চুলের মুঠি ধরিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দ্বারা পিঠে ও কাধে উপর্যপুরি মার ডাং করিয়া গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত করে। মোঃ আজিজার রহমান (৬৫) হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্ত্রী মোছাঃ মমতাজ এর গলা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করিলে আমার ছেলে মোঃ মশিয়ার রহমান (৪০) আগাইয়া গিয়া আমার স্ত্রীকে রক্ষা করে। ঐ সময় মোঃ জাহাঙ্গীর বাঁশের লাঠি দ্বারা আমার ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মার ডাং করিয়া ছেলা ও ফুলা জখম করে। আমার ০৪ মেয়ে যথাক্রমে মোছাঃ নারগিস বেগম (৩০), মোছাঃ দুলালী (৪৫), মোছাঃ খাদিজা (৩২) ও মোছাঃ লাইজু (২৫) আগাইয়া গেলে আজিজার রহমান (৬৫), কামরুজ্জামান (৬০), মোঃ আনোয়ার (৩০) আমার মেয়ে নারগিস কে, মোঃ জাহাঙ্গীর ও মোঃ পলাশ আমার মেয়ে দুলালী ও খাদিজাকে এবং মোঃ রানা ও রাফি আমার মেয়ে লাইজুর এর চুলের মুঠি ধরিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে মার ভাং করিয়া ছেলা ও ফুলা জখম করে এবং তাহাদের পড়নের কাপড় টানা হেচড়া করিয়া বিবস্ত্র করতঃ শীলতাহানী ঘটায়। আমাদের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন সহ স্বাক্ষীগন আগাইয়া আসিয়া আমাদেরকে রক্ষা করে। ঐ সময় সকল বিবাদীগন বলে যে, তাহারা যে কোন মূল্যে তফসীল বর্ণিত জমি জবর দখল করিবে এবং আমাদেরকে তফসীল বর্ণিত জমি ভোগ করিতে দিবে না, ভবিষ্যতে জমি বিষয়ে বাড়াবাড়ি করিলে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে রাস্তা, ঘাটে একাকী ও রাতের অন্ধকারে সুযোগমত পাইলে মারপিট, খুন জখম করিয়া লাশ গুম করিবে মর্মে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকী প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী মোছাঃ মমতাজ বেগম, আমার ছেলে মোঃ মশিয়ার রহমান (৪০) ও আমার মেয়ে মোছাঃ নারগিস বেগম (৩০), মোছাঃ দুলালী (৪৫), মোছাঃ খাদিজা (৩২) ও মোছাঃ লাইজু (২৫) এর অবস্থা বেগতিক হওয়ায় পরিবারের লোকজন সহ সাক্ষীদের সহযোগীতায় অপরিচিত চার্জার ভ্যানযোগে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেয় এবং আমার ছেলে, মেয়েকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।