মাসুদুর রহমান - সংবাদের পাতা:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে জেঁকে বসছে শীত। প্রতিদিনই ঘন কুয়াশার সাথে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হিমেল হাওয়া আর হালকা শিশির অব্যাহত থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কনকনে ঠাণ্ডায় কাতর গরিবরা শীত নিবারণে সরকারি সহায়তার আশায় দিন গুনছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বুধবার ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং (১২জানুয়ারী) তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিগত ৩ দিন থেকে সূর্যের দেখা নাই। দিন দিন কমছে তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহেই দেশের সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার শিকার হয়েছে এই জনপদ। সব মিলিয়ে শীতে জুবুথুবু উত্তরাঞ্চলবাসী।
সৈয়দপুর হলো দেশের অষ্টম বানিজ্যিক শহর। সকাল হলেই যে যার কাজে বেড়িয়ে পড়েন। কিন্তু শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সকলেরই কাজ কর্ম থমকে গেছে। কর্মজীবীরা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। শীতের তীব্রতায় শহরসহ গ্রামের হাট বাজারগুলোতে কমে যাচ্ছে মানুষের আনাগোনা। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে জটিলতা। রাতে কুয়াশায় আছন্ন থাকায় দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে।
দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শ্রমজীবি নিম্ন আয়ের মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষেরা। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র কষ্টে দিন কাটছে তাদের। সরকারী সহায়তার আশায় রয়েছেন তারা। কিন্তু এখনো কোনো উদ্যোগ নেই ইউনিয়ন পরিষদসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের জন প্রতিনিধি ও প্রশাসনের।
সকাল-সন্ধ্যা খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। শহর ও গ্রামের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোসহ উপজেলার হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত ডায়ারিয়া, টাইফয়েডসহ জ্বর-স্বর্দি রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন বেশি।
নীলফামারী-৪ আসনের নব নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট শিল্পপতি সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক বলেন, সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ আসনে দুই দিন ধরে হাড়কাপানো শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে মানুষ। আমি ব্যক্তিগতভাবে কম্বল ক্রয় করেছি। শীতার্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।