সবার কথা বলে

শরীয়তপুরে বাবার পরকীয়া রুগতে গিয়ে মামলার আসামী হলেন মা ও ছেলে

0 1,173

শরীয়তপুরে বাবার পরকীয়া রুগতে গিয়ে মামলার আসামী হলেন মা ও ছেলে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
এবি এম জিয়াউল হক টিটু:

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে থানায় নিজের বাবার পরকীয়ায় বাঁধা দিতে গিয়ে মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মা ও ছেলে । ১৭ বছর বয়সী মহিন (ছদ্মনাম) সখিপুর ইউনিয়নের মাঝিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা বাদশা সিকদারের ছেলে। বাদশা শিকদারের পরকীয়ায় বাঁধা দিতে গিয়ে তার পরকীয়া প্রেমিকার স্বামী বিল্লাল হোসেনের দায়ের করা মামলায় আসামী হয়েছে তার ছেলে মহিন( ছদ্মনাম)। একই মামলায় পরকীয়ায় বাঁধাদানকারী বাদশা শিকদারের স্ত্রী মাকসুদা বেগম সহ আরও ৪জন গ্রামবাসীকে আসামী করা হয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে এলাকা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মামলাটি মিথ্যা দাবি করে তা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি করেছে এলাকাবাসী।

সরেজমিন ঘুরে মনোয়ার সিকদার ও অন্যান্যদের সাথে আলাপ করে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে মাঝি কান্দির বাসিন্দা বাদশা শিকদারের সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী সাফিয়া বেগমের পরকীয়া প্রেম চলছিলো। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ মীমাংসা করা হলেও থেমেছিলো না তাদের অবৈধ কুকর্ম। ফলে বাদশা শিকদারের পরিবারে ভাঙ্গন শুরু হয়। বিষয়টি প্রমান করার জন্য ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ইং রাতে বিল্লাল হোসেনের ঘরে গিয়ে তার স্ত্রী সাফিয়া বেগমের সাথে বাদশা শিকদারকে হতে নাতে আটক করে বাদশা শিকদারের স্ত্রী, সন্তান ও এলাকার অন্যান্য লোকজন। এ সময় বিল্লাল ও তার স্ত্রীর সাথে বাদশা শিকদারের স্ত্রী মাকসুদা বেগম, ছেলে মহিন শিকদার ও এলাকাবাসীর বাকবিতন্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে ৫ জানুয়ারী ২০২৪ ইং বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে স্থানীয় মনোয়ার শিকদার, সিদ্দিক সরদার সহ মোট ৬ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করে। কিন্তু এ মামলায় যাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে, তারা মামলা ও ঘটনার বিষয়ে কিছুই অবগত নয়।

মামলার স্বাক্ষী মাস্টার সালাউদ্দিন মাঝি ও মনসুর মাঝি বলেন, এ মামলা ও ঘটনার বিষয়ে আমরা কিছুই অবগত নই। কি কারনে আমাদের স্বাক্ষী বানানো হয়েছে আমরা জানি না।
মামলার আসামী মনোয়ার সিকদার বলেন, আমরা শুধু অবৈধ পরকীয়ার বিপক্ষে থাকায় আমাদেরকে মিথ্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। আমরা এ মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি চাই।
বাদশা শিকদারের ছেলে মহিন জানায়, বাবার কারনে আমাদের পরিবারটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিলো। আমরা পড়াশুনা করতে পারিনি। শুধু আমাদের পরিবার টিকিয়ে রাখতে এবং বাবাকে সরিয়ে আনতে আমি, মা ও কয়েকজনকে নিয়ে বিল্লাল হোসেনের ঘর থেকে বাবাকে নিয়ে আসি। এখন আমাকে এবং মাকে আসামী বানানো হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বিল্লাল হোসেন বলেন, বিনা কারনে আমাদের বাড়িতে এসে আমাদের উপর হামলা করায় আমরা মামলা করেছি। আমরা কোন মিথ্যা মামলা করিনি।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিকে দায়িত্ব দিয়েছে। তারা বিষয়টি ভালো বলতে পারবে।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.