সবার কথা বলে

রেলওয়ে স্টেশনের গোডাউন বহু বছর যাবত লোহাচোর চামুয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল 

0 234

সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের গোডাউন বহু বছর যাবত লোহাচোর চামুয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল 

মোঃ মাসুদুর রহমান সৈয়দপুর

(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ 

নীলফামারী সৈয়দপুর রেলওয়ের ষ্টেশন ইয়ার্ডে অবস্থানরত ষ্টোর ডেলিভারী ভ্যান-৩৩৭৭ হতে গত ১৯ শে জানুয়ারী ২০২৪ তারিখ চুরি যাওয়া মালামাল সাংবাদিকদের হাতে আটক হওয়ার পর যন্ত্রাংশ গুলি থানায় নিয়ে গিয়ে মামলা হয়। গত ২১শে জানুয়ারী রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পূর্বের  সাংবাদিক টীম জানতে পারে যে, চোর সিন্ডিকেট চামুয়া ও তার পৃষ্টপোষকতায় অসাধু রেল কর্মকর্তারা  দীর্ঘদিন ধরে সৈয়দপুর রেল ষ্টেশনের ৩নং প্লাটফরমের গুডস গোডউনের পাশে জিআরপি থানার নাকের ডগায় ষ্টেশন মাষ্টারসহ ষ্টেশনের সকল প্রশাসনকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ম্যানেজ করে সরকারী গোডাউনকে তারা চোরাই মালামাল রাখার নিরাপদ স্থান বানিয়েছে।

সাংবাদিকরা সন্ধ্যাা ৭টার দিকে বিশেষ গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে গোডাউনের লিকেজ ফুটেজ দিয়ে সংরক্ষিত সেই গোডাউনের ছবি তুলে দেখতে পায় যে গোডাউনের ভিতরে ১৯ তারিখ চুরি যাওয়া মালামালের ব্যাপক অংশ সেখানে রাখা আছে। রাতের বেলায় উক্ত শেডের নিচে ছিন্নমূল অসহায় ঘুমানো বাসিন্দাদের উক্ত গোডাউন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন কারখানার কুখ্যাত লোহা চোর চামুয়া  এই গোডাউনে রাতের বেলায় ঘুমায়। চাবি তার কাছেই থাকে। যেদিন চোরাই মাল গোডাউনে আনা হয় সেদিন আমাদেরকে তারা এখানে ঘুমাতে দেয়না। সাংবাদিকরা এই গোপন সংবাদ জানতে পেরে রাত ৯টার সময় আরএনবির ইন্সপেক্টর মোকলেছুর রহমানকে মোবাইলে অবহিত করলে তিনি বলেন আপনারা ওখানে অপেক্ষা করেন আমি দশ মিনিটের মধ্যেই আমাদের ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠাচ্ছি। আপনারা তাদেরকে সহায়তা করবেন। বাকি সহায়তা আমি করব। তিনি দশ মিনিট সময় নিলেও আট মিনিটের মধ্যেই আরএনবির দশ বারোজনের একটি টীম ঘটনাস্থলে চলে আসে। এবং ডিএসবির একজন কর্মকর্তাও সেখানে উপস্থিত হয়। সাংবাদিকরা চুরির মাল রাখা গোডাউনের সামনে গিয়ে তাদেরকে গোডাউন দেখিয়ে দেন। উপস্থিত আরএনবির দায়িত্বরত কর্মকর্তা ষ্টেশন মাষ্টারকে উক্ত গোডাউনের চাবিসহ ডাকলেও তিনি কর্নপাত করেন নাই। দুই ঘন্টা অপেক্ষা করার পরেও তিনি বা তার পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে কেউ আসেন নাই। বিষয়টি সরকারের সকল গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করা হয়।

সাংবাদিকরা বিরক্ত হয়ে রাত ১১টায় বিষয়টি রেল পশ্চিম(জিএম) কে টেলিফোনে সৈয়দপুর রেল ষ্টেশন মাষ্টারের অসহযোগীতার কথা জানালে, তিনি দ্রত ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন। তার পরেই দেখা যায় সহকারী ষ্টেশন মাষ্টারসহ একজন ব্যাক্তি কিছু চাবি নিয়ে আসেন এবং বলেন যে এই গোডাউনের চাবি আমাদের কাছে নাই। কার কাছে আছে তাও তারা জানে না এবং একেক সময় একেক কথা বলতে থাকেন কখনো বলছে পি, ডাবলুর কাছে আছে। পিডাব্লুকে কল দিলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন ষ্টেশন গোডাউনের চার্জ ষ্টেশন মাষ্টারের। উক্ত গোডাউন আমার নয়। শেষমেষ সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার হাতুড়ী দিয়ে তালা ভেঙ্গে দিলে ভিতরে দেখা যায় প্রচুর চুরির মাল রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে পাওয়ার ভ্যানের ডিসি মটর, গাড়ির ব্রেকসুর টানা রড, ট্রলির চাকাসহ বহু মল্যবান যন্ত্রাংশ। সাংবাদিকরা সহকারী ষ্টেশন মাষ্টারকে মালের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারে নাই। আরএনবির কর্মকর্তারা মালের সিজার লিষ্ট করে ষ্টেশন মাষ্টারের স্বাক্ষর নিয়ে মালামাল জব্দ করে এবং মালামাল এই গোডাউনে কিভাবে আসলো সেই ব্যাখ্যা ষ্টেশন মাষ্টারের কাছে চাওয়া হবে। এব্যাপারে ষ্টেশন এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানায় জিআরপি থানা ষ্টেশন মাষ্টারসহ সকলেই জানে উক্ত গোডাউনটি চোর চামুয়া তার গডফাদার ও রেলের কর্তাদের ম্যানেজ করে তার নিয়ন্ত্রনে রেখেছে এবং রেলের সেই সংরক্ষিত জায়গা থেকেই চুরির সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত হয়।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.