আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের গবর্ণিং বডির নির্বাচনে দাতা সদস্য প্রতিনিধি প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযো
নিজেস্ব প্রতিবেদক – সংবাদের পাতা:
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডি নির্বাচন ২০২৪ দাতা সদস্য প্রতিনিধি পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ব্যালট নং ১ এর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আরেক ব্যালট নং ২ এর প্রার্থী কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল।
এবিষয়ে কাজী রাজিব উদ্দিন চপল জানান, ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডি প্রবিধানমালা, ২০০৯’ নামের প্রবিধানমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালের ৯ জুন । আমার বিশ্বাস, এই বিধিমালাটি যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হইলে গভর্নিং বডি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ না হইয়া পারে না; কিন্তু আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ গভর্নিং বডি নির্বাচন ২০২৪ কতটা বাস্তবায়িত হইতেছে তাহা প্রশ্নসাপেক্ষ।
দাতা সদস্য প্রতিনিধি পদপ্রার্থী কালাম সাহেব গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০০৯ এর বিধান (২৮) এর (২) নির্বাচনী প্রচারণায় কেবল সাদাকালো লিফলেট প্রকাশ ব্যতীত অন্যখাতে অর্থ ব্যয় করা যাইবে না, কিন্তু তার ব্যক্তিগত নির্বাচনী প্রচারণার যে লিফলেটটি ব্যবহার করেছেন সেটি রঙিন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে এবং রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী সহ বিদেশি পর্যবেক্ষক সম্বলিত রঙ্গিন ছবি তার লিফলেটে ব্যবহার করেছেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের সামিল।
প্রবিধান মালার বিধান (৩২) স্পষ্টভাবে বলা আছে প্রবিধান ১১ অনুসারে কোন ব্যক্তি গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদে বহাল থাকিবার যোগ্যতা হারাইলে (২৮) এর বিধান লংঘন করিলে এই প্রবিধান মালায় উক্ত ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করিয়া, তাহার সদস্য পদ বাতিলের কারণ যুক্তিযুক্ত প্রতিয়মান হইলে তাহার প্রার্থিতা বাতিল করিয়া দিতে পারিবে বা নির্বাচিত হইলে সদস্য পদে তারা নির্বাচন বাতিল করিয়া উক্তপদে পুনরায় নির্বাচনের আদেশ দিতে পারিবে। তাহলে কেন তার প্রার্থিতা বাতিল হবে না বলে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি ! পরে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে যারা আছেন এবং প্রিজাইডিং অফিসারকে বিষয়টি অবগত করেছি, আমি আশা করি তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার মমতাজ বেগম জানান, বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, লিখিত অভিযোগ পেয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের সাথে অভিযোগের বিষয় জানার জন্য ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।