বিবেক যুদ্ধ
বিবেক যুদ্ধ
লিজেন হোসেন
আমি করেনি কভু অপরাধের সাথে কোন সন্ধি
আমি সন্ধি বিবেকের শিকলে বাধা চির কারা বন্দি
আমি মানিনা কভু অপরাধে গড়ে উঠা কোন আইন
আমি ভাঙ্গতে চাই অপরাধে গর্জে ওঠা নিষিন্ধ কিছু লাইন।
আমি আঁকতে চাই মানুষ্য হৃদয়ে বিবেকের পথচিহ্ন
আমি সূর্যের আলো প্রভাকরের মত দিয়ে যাই আলো চিহ্ন
আমি দিবালকে মনুষ্য আড়ালে নই কোন জন্তু হায়না
আমি আধারের আলো জোৎস্নার মত নেই কোন বায়না
আমি তৃষ্ণার জল নই, আগ্নেয়গিরির ফুটন্ত কোন লাভা
আমি জন্ম আমি মৃত্যু, নই কোন পৈচাসিক থাবা।
আমি জন্ম উল্লাসে আনন্দ রোলে মৃত্যু বেদনার দহন
আমি চিরাচরিত মিথ্যা আশ্বাসে নই কোন আনন্দ বহন
আমি সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হয়ে নিকৃষ্ট জীবের আচরণ
আমি সভ্য সমাজের আধারের মানুষ অপরঞ্চে করি বিচরণ
আমি দৃষ্টিশক্তি তবুও অন্ধ দেখি না কোন অনাথের ছায়া,
আমি গর্জে ওঠা মেঘের শব্দ, সুভাশী ফুলের মায়া
আমি শান্ত নদীতে বয়ে চলা উল্টা স্রোতের খেলা
আমি অশান্ত মানুষের যমদূত কেড়ে নেওয়া বেলা
আমি কষ্টের অর্জিত অর্থ ব্যয়ে কিনতে না পারা সুখ
আমি সৃষ্টি আমি উল্লাস আমি ভাসমান এক বুক।
আমি নন্দিত উল্লাসে বিবেকের তরে প্রশ্ন করি বহন
আমি ক্ষুধার যন্ত্রণা বহন করা অসহায়ের কোন চাহন
আমি গভীর সমুদ্রের চিরো যৌবনা উত্তাল কোন ঢেউ,
আমি শান্তি আমি অশান্তি আমি অসহায়ের হয়তো কেউ।
আমি যুবকের ন্যায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে অফুরন্ত যৌবন
আমি বিশ্ব আমি মহাবিশ্ব আমি ধ্বংস করা মৌবন।
আমি নিরব প্রকৃতির লুকানো হাসি ভুলে যাওয়া বিকাল
আমি সাইক্লোন আমি ধ্বংস আমি আসতে দেব না সকাল
আমি গর্জে ওঠা আকাশ গঙ্গায় ফেটে পরা বৃষ্টির ছোঁয়া
আমি অর্জন আমি বিসর্জন আমি হতাশার এক ধোয়া
আমি প্রেমময় কিশোরী বাঁকা ঠোটের মুক্তা ঝরা হাসি
আমি সুন্দর আমি পরিপাটি আমি মানবতার দাসী।