আমার কেড়ে নেয়া বিজয় ফিরিয়ে দিন-
অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ আহমদ।
একেএম মহিউদ্দিন - বিশেষ প্রতিনিধি :
আমি জনগনের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, আমার বিজয় কেড়ে নেয়া হয়েছে। আমাকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিতে হবে।
শনিবার (১৭ আগষ্ট) সকালে উপজেলার কাশিপুর বাজারে ৪ নং বারগাঁও ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত শান্তি সমাবেশ ও পথ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিগত ৫ জানুয়ারি ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি চশমা প্রতিকে সোনাইমুড়ি উপজেলার ৪ নং বারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনের দিন বিকেলে ভোট গণনা শেষে প্রার্থীর এজেন্টকে কাশিপুর ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ভোট গণনার ফলাফলের যে কপি হস্তান্তর করেন পরর্বতীতে উপজেলা পরিষদে গিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের চাপের মুখে প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ফলাফল শীট কাটাকাটি করে ফলাফল পাল্টে দিয়ে আমার জয় ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদ।
এ বিষয়ে মামলা চলমান থাকলেও কোন প্রতিকার পাননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করার পর থেকে এলাকায় নিখোঁজ রয়েছেন ভোটের ফলাফল ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা চেয়ারম্যান শামসুল আলম। ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সকল সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
সমাবেশে অধ্যক্ষ সাইয়েদ আহমদ বলেন আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তাই জনতার রায়কে মেনে নিয়ে আমাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিতে হবে। আর যদি ক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে কোনরুপ তালবাহানা করা হয় তবে এলাকার জনগণ তা মেনে নিবে না, উত্তেজিত জনতাকে আর শান্ত রাখা যাবেনা। তাই কাল বিলম্ব না করে আমাকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়ে এলাকার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ৪ নং বারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।