সবার কথা বলে

চট্টগ্রামে শীর্ষ স ন্ত্রা সী ফিরোজসহ ১০৪ জনের বিরুদ্ধে হ ত্যা চেষ্টা মামলা

0 27

চট্টগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী ফিরোজসহ ১০৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা।

নিজস্ব সংবাদদাতা – সংবাদের পাতা:

২৪ এর জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নওফেল, চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ফিরোজসহ মোট ১০৪ জনকে আসামী করে আদালতে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত (২৪শে অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজেষ্ট্রেটের আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের করেন আমেনা আক্তার সোনালী নামক এক নারী। ঘটনার দিন গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার স্বামী মো: আল আমিন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।

মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, পলাশ সেন প্রকাশ ছ্যাঁচড়া পলাইশ্শা সত্যি বলছে মাথায় হেলমেট হাতে লাঠি ও কোমরে চাক্কু নিয়ে দফায় দফায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছেন এই পলাশ তিনি চট্টগ্রাম বিভিন্ন সাবেক স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের নেতাদের সাথে সেলফি তুলে অপকর্ম করে বেড়াতেন এখনো তার বিভিন্ন অপকর্ম চলমান তার ফেসবুক থেকে প্রতিনিয়ত উস্কানিমূলক ট্রেডার্স দিয়ে যাচ্ছেন এই পলাশের রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজিদের সাথে ভালো সখ্যতা, বাবু প্রকাশ শাক বাবু প্রকাশ ইয়াবা বাবু শাক বাবু একটা সময় চট্টগ্রাম শহরে মাথায় করে শাক বিক্রেতা ছিলেন এখন তিনি মাদক দখলবাজি করে কোটি কোটি টাকা বনে গেছেন মামলা থেকে গ্রেফতারের রাতে তিনি এখন সহ পরিবার সহ তার গ্রামের বাড়ি বিলাসবহুলভাবে জীবন যাপন করছেন কিশোরগঞ্জে। আমজাদ প্রকাশ ভুয়া ডিবি আমজাদ তার অপকর্মের শেষ নেই তার ডাল ছিল যুবলীগ নেতা হওয়া সে যুবলীগ নেতা না হয়েও ধর্ষণ ছিনতাই মাদক সহ বিভিন্ন অপরাধ এখনো করে বেড়াচ্ছে পশ্চিম বাকলিয়াতে। মোঃ সোহেল আহমেদ সেলু প্রকাশ চোরা সেলু প্রায় ২০ মামলার আসামি তার সকল অপকর্ম পশ্চিম বাকলিয়ার বগার বিলে চলমান।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, গত ২০শে জুলাই ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ, সাবেক সেতুমন্ত্রী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয় মো. আল আমিন। এসময় সন্ত্রাসীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র জনতার উপরেও নির্বিচারে গুলি করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। সেদিন চান্দগাওস্থ বহদ্দারহাট কাচা বাজারের সামনে শীর্ষ সন্ত্রাসী ফিরোজের হাতে থাকা কাটা রাইফেলের ছোড়া গুলি ভুক্তভোগী আল আমিনের বাম পায়ে লাগে। এতে সে আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সে ঢাকার বিএন মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে।

মামলার বাদী আমেনা আক্তার সোনালী বলেন, সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী ছিল আমার স্বামী। ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে আজ সে পা হারিয়েছে। আজীবন এই কষ্ট মাথায় নিয়ে চলতে হবে আমাদের। আমার স্বামীকে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা গুলি করে পঙ্গু বানিয়েছে। আমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।

বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার নিতান্তই গরীব। দিনে আনে দিনে খায়। গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে সব শেষ হয়ে গেছে তাদের। আমি চাই অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তি হোক। সঠিক বিচার পাব বলে আশাবাদী আমি।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.