কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র-গুলিসহ একজন অস্ত্র কারবারীকে র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার।

নিজেস্ব সংবাদদাতা - সংবাদের পাতা:

র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-১৫ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যং এলাকাস্থ জনৈক এক ব্যক্তির বসতঘরে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়/বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করে রেখেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ০৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ অনুমান ০৩.০০ ঘটিকায় র‌্যাব-১৫, সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে বর্ণিত এলাকার আজুজুর রহমান এর বসতঘরের সামনে র‌্যাবের আভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পলায়নের চেষ্টাকালে লায়লা বেগম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত লায়লা বেগম জানায় যে, তার স্বামী আজিজুর রহমান প্রকাশ আজিজুর প্রকাশ মুনিয়া ডাকাত র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে রাতের অন্ধকারে কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আজিজুর রহমানের বসতঘর ও বসতঘরের আশপাশ এলাকা তল্লাশী করে গ্রেফতারকৃত লায়লা বেগম এর স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে শয়নকক্ষের খাটের নিচে বিশেষভাবে রক্ষিত অবস্থায় ১টি প্লাস্টিকের ব্যাগ হতে দেশীয় তৈরি একটি একনলা বন্দুক (এলজি), ০২ (দুই) রাউন্ড পুরাতন ১২ বোর শর্টগানের কার্তুজ এবং ০৬ (ছয়) রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয়- লায়লা বেগম (৩৯), স্বামী-আজিজুর রহমান, মাতা-ছিদ্দিক বাহার, সাং-রইক্ষ্যং, ৩নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-হোয়াইক্যং, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে ও তার স্বামী মিলে পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মাধ্যম হতে অবৈধ অস্ত্র-গুলি সংগ্রহ করতো। এ সকল অস্ত্র-গুলি তারা স্থানীয় এলাকায় বিভিন্ন দুষ্কৃতিকারীদের নিকট অর্থের বিনিময়ে বিক্রয় করে আসছিল। এছাড়াও তারা টেকনাফসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য বিক্রয় করতো বলেও জানায়।

উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত ও পলাতক অস্ত্র কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।