যশোরে আ.লীগের নির্যাতনে নিহত ছাত্রদল নেতা হাশেম হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন।
নিজেস্ব সংবাদদাতা – সংবাদের পাতা:
সম্প্রতি আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত
যশোরে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক হাশেম আলী হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। বরিবার (১০ নভেম্বর) বিকালে যশোর সদর উপজেলার রুপদিয়া বাজারে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধনে প্রায় ৫ শতাধিক নারীপুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের সবার প্রিয় মরহুম হাশেমের রোগ প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে হয়নি, এটা ছিলো অস্বাভাবিক। হাশেম আওয়ামী দোসরদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে ভূয়া নাশকতার মামলায় জেলে গিয়েছিলেন এবং জেল থেকে বের হবার পরে একটা দীর্ঘ সময় ধরে উনি চিকিৎসা ধীন ছিলেন এবং সবশেষে পুরাতন ক্ষত থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়ে আমাদের থেকে বিদায় নিলেন। এই ঘটনার দায়ভার কোনভাবেই আওয়ামী দোসররা এড়াতে পারেনা।আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই এই ঘটনার।
হাশেম আলীর বৃদ্ধ মা রমিছা বেগম জানান, বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের আমলে ২০১৫ সালে এলাকার বালি খেকো নামে পরিচিত শ্রীপদ্দী গ্রামের নজর আলী খোকার নির্দেশে চাউলিয়া পাম্প সংলগ্ন একটি বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়, ওই বাড়িতে আগেই অবস্থান করছিলেন নরেন্দ্রপর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাশেম বিশ্বাস,আওয়ামী নেতা নজর আলী খোকা, চাউলিয়া গ্রামের যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান ভুট্ট, একই গ্রামের অপর দুই যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন আলম ও রিপন হোসেন সেখানেই ব্যাপক নির্যাতন করে ভূয়া নাশকতা মামলায় থানায় দেওয়া হয়,পরবর্তীতে জেল থেকে বের হবার পরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগতে থাকে এবং সর্বশেষ মৃত্যুবরণ করেন,আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই। হাশেমের বৃদ্ধ মা আরও সেখানে কাশেম বিশ্বাস ও শাহাবুদ্দিনের পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে ছেলেকে ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু তারা কিছুতেই রাজী হয়নি।
তার নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা থাকার কারনে পালিয়ে থাকতে হতো তাকে। সে কারণে চিকিৎসা নিতে পারেননি। আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২২ সেপ্টেম্বর তাকে যশোরের দড়াটানা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা পিজি হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারপর শরীরের অবস্থা আরো অবনতি হলে ঢাকা ল্যাব এইডে ভর্তির পর সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১৩ই অক্টোবর সে মৃত্যুবরণ করেন। যশোরের মরদেহ আসার পর তার বাড়িতে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং পরিবারের সকলের প্রতি সমবেদনা জানান।