গলাচিপায় ছেলে হত্যার বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন।
মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল – সংবাদের পাতা:
গলাচিপায় ছেলে হত্যার বিচারের দাবীতে সোমবার গলাচিপা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ের বেলা দুই টার সময় এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের রঞ্জিত ভৌমিক।
তিনি এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ছেলে রাহু ভৌমিক এর সাথে এক’ই এলাকার গোবিন্দ কুন্ড মেয়ে বিথির সাথে দীর্ঘ দিন মন দেয়া নেয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি আমার প্রতিবেশী গোবিন্দ কুন্ড ও তার পরিবার সহজে মেনে না নিয়ে মেয়েকে জোর করে প্রায় দুই বছর পূর্বে অন্যেত্রে বিয়ে দিয়ে দেয়। বিষয়টি উভয় পরিবার মেনে নিলেও, দুই বছর পর আমার ছেলের সাথে পুনোরায় সম্পর্ক গড়ে তোলার চাপ সৃষ্টি করে গোবিন্দ কুন্ড এর মেয়ে বিথি রানী কুন্ড। মেয়ের এ অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি পূর্বে থেকে’ই আমাদের এবং গোবিন্দ কুন্ড পরিবারকে অবহিত করলেও মেয়ের বিষয়ে তার কোন ভূমিকা পালন করেনি। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে রাহুল তার প্রেমিকা বিথি রানীর বিয়ের পরেই নিজেকে আড়াল করতে ঢাকা গিয়ে, গাজিপুর জেলায় কালিগঞ্জ এলাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরী করতো। সেখানেও গিয়েও মেয়ে বিথি রানী পুনোরায় সম্পর্ক গড়তে আমার ছেলেকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করতো। যা মৃত্যুর বেশ কয় দিন পূর্বে’ই আমাদের জানিয়েছিলো। তাই আমাদের ধারনা বিথি রানীর অবৈধ প্রস্তাব মেনে না নেয়ায় সু-কৌশলে আমার ছেলে রাহুল ভৌমিক’কে গোবিন্দ কুন্ড ও তার মেয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ঘড়ের জানালার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে ধামা চাপা দেয়ে। ঐ সময়ে আমি হত্যা মামলা করতে গিয়েও তৎকালিক আওয়ামীলীগের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের চাপে বাধাঁগ্রস্ত হয়েছি। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের কাছে আমার ছেলে রাহুল ভৌমিক এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত ন্যায় বিচার দাবী জানাচ্ছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত গোবিন্দ কুন্ড এর সাথে মুঠোফোন ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার প্রতিবেশী রঞ্জিত ভৌমিক আমার এবং আমার মেয়ের সামাজিক হেনাস্তা করতে অবান্তর কল্পকাহিনী রচনা করছেন। বরং রাহুল এর বাবা’ রঞ্জিত ভৌমিক’ই ছেলের অন্যায় আবদার রাখতে ছেলের আত্মহত্যার পথ এগিয়ে দিয়ে সহায়তা করেছে, কোথায় কি হয়েছে সমস্ত প্রমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে রয়েছে।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ১৯’শে সেপ্টেম্বর রাহুল ভৌমিক কালিগঞ্জ তার কর্মস্থান একাকার ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ, এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু ডায়েরী করা হয় যার নং ৯১৫।