সবার কথা বলে

১০ লাখ টাকার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে

0 35
“১০ লাখ টাকার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে”
জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর – সংবাদের পাতা:
রব মাদবর ও তার পরিবার জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গ্রামের বাড়িতে থাকেন না। এই সুযোগে প্রতিবেশী বাচ্চু তস্তার ও বেগমরা রব মাদবরের প্রায় ১০ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুর রব মাদবরের ছেলে রফিকুল ইসলাম মাদবর।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ কেবলনগর গ্রামে এঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ কেবল নগর গ্রামের মৃত কিতাব আলী মাদবরের ছেলে আব্দুর রব মাদবরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী বাচ্চু তস্তার ও তার স্ত্রী রেশমা বেগমের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে শরীয়তপুরের আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা চলাকালীন সময়ে বাচ্চু তস্তার ও তার স্ত্রী রেশমা বেগম রব মাদবরের জমির কাঠ, মেহগনি, চাম্বল, বাঁশসহ বিভিন্ন গাছ কেটে নিয়ে গেছেন। ঢাকা থেকে বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন রব মাদবর ও তার পরিবার। পরে এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে পালং মডেল থানায় অভিযোগসহ সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাচ্চু তস্তারের স্ত্রী রেশমা বেগম বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আদালতও মানি, সমাজও মানি। আমাদের টাকা নাই। রব মাদবররা আমাদের জমি জোর করে ভোগ দখলে রেখেছিল। আদালতে মামলা থাকলেও স্থানীয় সালিশগণ জমি মেপে আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছে। যদিও জমি পরিমাপের দিন রব মাদবর বা তার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না। স্থানীয় সালিশগণ জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পরে আমরা গাছ কেটেছি।
আব্দুর রব মাদবরের পুত্র রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা চাকরি সুবাদে দীর্ঘদিন ঢাকায় বসবাস করি।  গ্রামের বাড়িতে কেউ না থাকায় সেই সুযোগে প্রতিবেশী রেশমা আক্তার ও বাস্তু তস্তার স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমাদের জমি দখল করেছে এবং প্রায় ১০ লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়ে গেছে।  এই বিষয়ে আমরা পালং মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আশা করছি আমরা উপযুক্ত বিচার পাবো।
বিষয়টি নিয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, অভিযোগটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.