সবার কথা বলে

জিনিয়াস ক্যাডেট স্কুলে শিক্ষার্থীদের বর্ণিল পিঠা উৎসবের আয়োজন

0 13

জিনিয়াস ক্যাডেট স্কুলে শিক্ষার্থীদের বর্ণিল পিঠা উৎসবের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এম এ জব্বার – সংবাদের পাতা:

শীতের মিষ্টি রোদে হরেক রকমের পিঠার সমারোহে জিনিয়াস ক্যাডেট স্কুলে হয়ে গেল শিক্ষার্থীদের বর্ণিল পিঠা উৎসব।

প্রায় শতাধিক পিঠার পসরা সাজিয়ে ২০টি স্টল নিয়ে বসে স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। দারুণ এ আয়োজন দেখতে ও পিঠার স্বাদ নিতে স্কুলটিতে ছিল বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের ভিড়।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ২ দিন যাবত জিনিয়াস ক্যাডেট স্কুলের মাঠে এ আয়োজন করা হয়। স্কুলটি কদমতলী থানাধীন শ্যামপুর রেইল লাইন সংলগ্নে অবস্থিত।
স্কুলটি ২০২১ সালে স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই খুব সুনামেন সহিত সাফল্য অর্জনের মধ্যে পরিচালনা করে যাচ্ছে। স্কুলটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক এর বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলটিতে বাংলা ও ইংলিশ মিডিয়াম বিভাগ রয়েছে।

ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ পিঠার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে শীতের মৌসুমে এ আয়োজন করে অত্র প্রতিষ্ঠানটি। ফুলে সজ্জিত ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন জিনিয়াস ক্যাডেট স্কুলের চেয়ারম্যান সৌরভ স্যার।

পিঠা উৎসবে ঘুরে সুকন্যাদের পিঠার দোকান, নবান্নের পিঠা ঘর, পিঠার সমাহার, ঢেঁকির বৈঠক খানা, নোয়া চাইলে নোয়া হিডা, পিঠা আড্ডা, টুনটুনিদের পিঠা ঘর ও পিঠা অরণ্যসহ বিভিন্ন নামে শতাধিক দোকান দেখা যায়।

এতে পদ্মার ইলিশ পিঠা, পাটি সাপটা, পান্তুয়া, জেলি কেক, বরফি, দুধ চিতল, ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, ঝুনঝুনি পিঠা, মুগ পাকন, ক্ষীর পাটি সাপটা, হৃদয় হরণ, নারিকেল বেলি পিঠা, ডাল পাকন, শুকনা পিঠা, লতা পিঠা, শামুক পিঠা, সাকুর পিঠাসহ তিন শতাধিক পিঠা দেখা গেছে। একেকটির স্বাদ একেক রকমের।

ছাত্র-ছাত্রী কয়েকজন বলেন, ‘‘পিঠাগুলো আমরা মাসহ অন্যদের সহযোগিতায় বানিয়েছি। অনেক পিঠার নাম আমরা জানতাম না। এ আয়োজনের মাধ্যমে পিঠাগুলো বানানো শিখলাম। পিঠার নামও শিখতে পেরেছি। প্রিয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ পাওয়াটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’’

পিঠা উৎসব দেখতে আসা বিভিন্ন অভিভাবকরা বলেন ‘‘পিঠা উৎসবের খবর পেয়ে আমরা দেখতে এসেছি। প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটি এমন আয়োজন করে থাকে। এবারের আয়োজনটি মনমুগ্ধকর ছিল। আমরা কয়েকটি পিঠা খেয়েছি। মজার খাবার ছিল।’’

প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সৌরভ স্যার বলেন, স্কুলটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শীতকালে আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করে আসছি। সবগুলো পিঠা অভিভাবকদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বানিয়েছে। এবার প্রতিটি স্টলে নতুন নতুন ধরনের পিঠা দেখছি। আয়োজনটি শিক্ষার্থীরা দারুণভাবে উপভোগ করছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজনের উপস্থিতি সরব রয়েছে।’’ প্রতি বছরই এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান তিনি।

পরে অনেক অভিভাবকরা পিঠা উৎসবের মাধ্যমে গ্রামবাংলার সেই হারানো ঐতিহ্য আবারও শহরে ফিরে আসবে এমনটিই মনে করেন।

 

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.