বিদায় ঘন মুহুর্ত বেদনার হলেও তা অমলিন ও চিরস্মরণীয় করে রাখতে রাজকীয়ভাবে বর সাজিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে নুরুল আবছারকে বিদায় দেন স্কুলের পরিচালনা পরিষদ। নুরুল আবছার দীর্ঘ বৎসর যাবত এই প্রতিষ্ঠানে কর্মদানে নিয়োজিত ছিলেন। জানা যায়, স্কুলের প্রতিদিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রেনী কার্যক্রমে ঘন্টা ধ্বনি বাজিয়ে স্কুল মুখরিত করতেন ধারাবাহিক ভাবে তাঁর পরিবারের পূর্ব পুরুষ থেকে প্রায় ১০০বছর ধরে। তাঁর প্রপিতামহ বাদশা মিয়া, দাদা ছেরাজুল হক, তাঁর বাবা মুন্সি মিয়া এর পর তিনি নুরুল আবছার মাত্র ১২বছর বয়স থেকেই কর্ম যাত্রা শুরু করেন।
অনুষ্ঠানে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো : আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে, স্কুল শিক্ষক নিতাই দাশের সঞ্চালনায় পিয়ন নুরুল আবছারের স্মৃতিচরণে বক্তব্য রাখেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম, সিনিয়র শিক্ষক রেজাউল করিম, অছিউর রহমান সহ অনেক শিক্ষক। কথা বলেন কোমলময়ী শিক্ষার্থীরাও। কোনো মতেই ভুলতে পরেন না তাদের সবার প্রিয় আবছার ভাইকে। তাঁর বিদায়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শিক্ষক শিক্ষার্থী অনেকেই।
প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম তাঁর স্মৃতিচারণে বলেন, নুরুল আবছার অতি সৎ ও কর্মঠ একজন মানুষ ছিলো। আমি কোনো দ্বিধা ছাড়াই তাঁকে বিশ্বাস করতে পারি।বিদ্যালয়ের ব্যাংক লেনদেন অনেক সময় নুরুল আবছারের মাধ্যমে করানো হলে দীর্ঘ কালে কখনো কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। খুবই মার্জিত মোলায়েম ছিলেন পিয়ন নুরুল আবছার।কাজের বেলায় কখনো সে অলসতা দেখায়নি।আমরা খুব করে তাকে অনুভব করি সামনেও করবো।তাঁর স্থানে কেউ আসলেও তার আমেজ অপূরনীয় থেকে যাবে।