হাফিজুর রহমান হৃদয়/কুড়িগ্রাম
সংবাদের পাতা:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ২২ফেব্রুয়ারি শনিবার প্রকাশিত ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯০সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ৩০সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
রোববার (২৩ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পাবলিক লাইব্রেরি শহিদ মিনারে চত্বরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের বিষয়টি জানান।
পদত্যাগ করা জেলা কমিটির সংগঠক ইয়াকুব রহমান শ্রাবণ বলেন, উপজেলায় যারা আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে নির্দিষ্ট দলের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই আমরা জেলা কমিটির ৫সদস্য ও উপজেলা কমিটির ২৫ সদস্য পদত্যাগ করছি এবং উপজেলার নতুন কমিটিকে ও পক্ষপাতদুষ্ট কমিটি প্রদানের সাথে যারা জড়িত কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দকে ভূরুঙ্গামারীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।
জেলা কমিটির সদস্য নয়ন মিয়া নাহিদ জানান, আমাদের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ ছাড়াই জেলা থেকে ৯০ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে জুলাই বিপ্লবে উপজেলায় যারা আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে ছিলেন, তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে ফাইজা তাসমিন ফিমু ও আহত শিক্ষার্থী আহত আব্দুর রহমান শেখ বলেন, ১৬ জুলাই থেকে শুরু করে ০৫ আগস্টে সম্যক সারীর সেই সব বিপ্লবী এবং বর্তমান পর্যন্ত যারা এ বিপ্লবকে সমুন্নত রাখতে ভূরুঙ্গামারীতে কাজ করে চলছে তাদেরকে মাইনাস করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্য এই কমিটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘন্টা মধ্যে এই কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, জামাত-শিবির মাঠে ছিলো তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারটি তাদের হাতে তুলে দেইনি। তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক ঘোষ্ঠির বি টিম নয়। আপনারা এখানে হস্তক্ষেপ করবেন না।
উল্লেখ গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রুকনুজ্জামানকে আহ্বায়ক, খোরশেদ আলমকে সদস্য সচিব, লাবিব শাহরিয়ারকে মূখ্য সংগঠক ও রেবেকা সুলতানাকে মুখপাত্র করে ৯০ সদস্য বিশিষ্ট ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি ঘোষণা করা হয়।