
ম্যাগফি গ্লোবাল এডুকেশনের দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত।
নিজেস্ব সংবাদদাতা – সংবাদের পাতা:
ম্যাগফি গ্লোবাল এডুকেশনের দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত। মানসম্মত উচ্চশিক্ষার জন্য সঠিক পরিকল্পনা, সফল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে “স্টাডি অ্যাব্রড মিশন” শীর্ষক দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ করেছে গ্লোবাল এডুকেশন বাংলাদেশ বাংলাদেশ।
ওয়ার্কশপে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের বর্তমান মহাসচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।
এসময় তিনি বলেন, একটি মানসম্মত উচ্চশিক্ষার জন্য শুধু শিক্ষা গ্রহণই যথেষ্ট নয়, এজন্য ইতিবাচক মূল্যবোধ ধারণ ও তা অনুশীলন করা জরুরি। আর এ কারণেই আন্তব্যক্তিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনে রূপান্তরকামী নেতৃত্ব তৈরির মাধ্যমে ম্যাগফিকে মাধ্যম হিসেবে নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। কার্যকর এবং দক্ষ একাডেমিক ও উচ্চ শিক্ষার নেতৃত্বের ঐক্যবদ্ধ শক্তিই ম্যাগফি গ্লোবাল এডুকেশন তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
ম্যাগফির সিইও মোহাম্মদ এম রহমান বলেন, উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর অনেক শিক্ষার্থীর একটি বড় আশা থাকে ভালো ক্যারিয়ার গড়ার, এ লক্ষ্যে ইচ্ছা থাকে বিদেশে পড়াশোনা করার। তবে অনেকেই জানেন না, কীভাবে বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথ তৈরি করা যায়। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী নিজের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রথমেই যে প্রশ্নটি মনে আসে, তা হলো কোন দেশে কম খরচে পড়াশোনা করা সম্ভব।
পোলেন্ড, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলো অনেকের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে, কারণ এসব দেশে শিক্ষার মান ভালো এবং পড়াশোনার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। অনেক শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়তে যান, তবে যারা কম খরচে বিদেশে পড়তে চান, তাদের জন্য কিছু দেশের প্রতি নজর দেওয়া উচিত—বিশেষ করে এশিয়া ও ইউরোপের কিছু দেশ বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কম খরচে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান করে। আবার কিছু দেশ রয়েছে, যেখানে টিউশন ফি ছাড়াই পড়াশোনা করা সম্ভব। ম্যাগফি গ্লোবাল এডুকেশন তাদের জন্য হতে পারে একটি মাধ্যম।
দিনব্যাপী ওয়ার্কশপে বিষয়বস্তু ছিলো, ক্যারিয়ার লক্ষ্য ঠিক করা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি, সঠিক দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেওয়া,স্কলারশিপ ও ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি, SOP, LOR, ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি লেখা,ভিসা, ইমিগ্রেশন ও ফিনান্সিয়াল প্ল্যানিং। শেষে ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।