
নিজস্ব প্রতিবেদক( মিরসরাই)
দীর্ঘ এগারো মাস পেরিয়ে এলো পবিত্র রমজান মাস।প্রতিটি মুসলিম পরিবারে এসেছে রমজানের আমেজ।
পহেলা মার্চ সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় চাঁদ দেখার উৎসাহ উদ্দীপনা। মাগরিবের নামাযের পরই মুসল্লীরা মসজিদ থেকে বের হয়ে খুঁজতেছিলো রমজানের চাঁদ। শিশু কিশোরদের মাঝেও এই আনন্দ বিদ্যমান দেখা যায়। ইশারের নামাজের পর তারাবির নামাজের মাধ্যমে শুরু হলো রমজানের আমেজ। পহেলা রমজানের তারাবির পড়তে এসেও খুব উচ্ছ্বাসিত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। সকল অন্যায় – অবিচার, ঘুষ,সুদ সহ নানা রকম পাপাচরণ থেকে মুক্ত থেকে এক আল্লাহর আদেশ পালন ও ইসলামের মৌলিক ইবাদত সাওম বা রোজা পালনে উদ্ভুদ্ধ সকল মুসলিন জনতা মনে করেন এই সাওমের মাসে শয়তান বন্ধি থাকে বলে তারা নিজেদের আত্ম চেতনায় ইবাদতে নিমজ্জিত থাকতে পারেন।
কিন্তু ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষণা মতে, এই এক মাসের সঠিক ইবাদতের মাধ্যমে প্রত্যেকে নিজ নিজ স্থান থেকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরী করার অন্যতম মাধ্যম বা সুযোগ হলো এই রমজান মাস। এই মাসের ইবাদতের মাধ্যমে বাকি এগারো মাসের ইবাদতের অভ্যাস গড়ে তুলা সম্ভব। এই মাসেই রয়েছে সবে মেরাজ নামে একটি মহা মূল্যবান রাত। যার এক রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদের চেয়ে উত্তম। রমজান মাসে শুধু সাওম পালন করা মানে সারাদিন উপবাস থেকে ইফতারে হরেক রকম খাওয়ার স্বাদ অর্জন করা একজন মুসলিমের কর্ম নয় বরং সকল পানাহার ও অশ্লিল কার্যবিধি থেকেও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার নাম সাওম।
মুসলিম মনীষিদের মতে, আমাদের উচিত প্রত্যেকের পাশের প্রতিবেশিদের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি তাদের সেহরি ও ইফতারের সঠিক চিন্তা করা। এই রমজানে সবচেয়ে বড় নফল ইবাদত হচ্ছে বেশি বেশি দান করা। আর একজন রোজাদারকে ইফতার করানোর মধ্যেও রয়েছে অনেক বড়৷ নেয়ামত ও সওয়াব।যা সাওমের সঠিক দিক বহন করে।