
স্বামীর লাথিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী গুরুতর আহত: ভ্রুন বাচ্চাটি নষ্ট।
বিশেষ সংবাদদাতা:
স্বামীর লাথিতে অন্তঃসত্তা স্ত্রী গুরুতর আহত। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর পেটে থাকা আট সপ্তাহের ভ্রুণ বাচ্চাটি নষ্ট হয়। গত ১ মার্চ রাত সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার বেয়ারা মুসলিম নগর এলাকার দেলোয়ার মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে গত ১১ মার্চ ভুক্তভোগী স্ত্রী তার স্বামী জুবায়ের ভূঁইয়া (২১) সহ সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলা নম্বর- ০৭।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন স্বামী জুবায়ের তার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে স্ত্রীর পেটে থাকা বাচ্চাটি নষ্ট করতে তাকে মারধর করেন ও পেটে লাথি মারে। ফলে স্ত্রীর গর্ভে থাকা ভ্রুন বাচ্চাটি নষ্ট হয়ে যায়। এক পর্যায়ে স্ত্রী নার্গিস আক্তার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ও রক্তপাত হতে থাকে।
তখন স্ত্রী চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে প্রথমে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার স্যার শহীদ সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চিকিৎসা শেষে তাকে অন্য আরও একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুধু তাই নয় সঙ্গবদ্ধ চক্রটি, ভুক্তভোগীর গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, ওয়াড্রবে থাকা চার ভরি ওজনের স্বর্ণলঙ্কার এবং নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নেয়। এবং ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। যার দাম প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।
এদিকে ভুক্তভোগীর শশুর কবির ভূঁইয়া মামলা উঠানোর জন্য প্রতিনিয়ত তার ছেলের বউ নার্গিসকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। উল্লেখ্য মামলার প্রধান আসামি জুবায়ের ভূঁইয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। কিন্তু কিছুদিন পর সে জামিনে বের হয়। জানা যায়, জামিনে থাকা আসামি জুবায়ের বিদেশ যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। এ নিয়ে শংকায় রয়েছে তার স্ত্রী সহ অনেকেই।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো- জুনায়েদ ভূঁইয়া, কবির ভূঁইয়া, পলি আক্তার, শিল্পী আক্তার, মকবুল হোসেন ও সেলিম।
ভুক্তভোগী নার্গিস আক্তার বলেন, মামলার এক নম্বর আসামি তার স্বামী জুবায়ের ভূঁইয়া দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পায়তারা করছে। কিন্তু সে যদি দেশ ছেড়ে চলে যায় তাহলে বিচার ব্যবস্থার বিঘ্ন ঘটবে। আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছি এবং আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত আছি। এদিকে মামলার আসামিরা জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে চাপ সৃষ্টি করছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।