
ফুলকোচা ইটভাটায় জামালপুরের মাসুদ ম্যানেজারকে পিটিয়ে আহতাবস্হায় জিম্মি করে কতিপয় দুষ্কৃতকারী।
নিজস্ব প্রতিবেদক – সংবাদের পাতা:
জানা যায় মাসুদ জামান (৪৪), পিতা-আব্দুল গনি, জামালপুর সদর উপজেলার কোচগড় গ্রামের অধিবাসী। সে মেলান্দহ থানাধীন ফুলকোচার এসআর ব্রিকসে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতো। ১৪ এপ্রিল সোমবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬.৩০ ঘটিকার সময় ফুলকুচা এস আর ব্রিকস এর ম্যানেজার মাসুদ জামান ইট ভাটায় এসে দেখতে পায় কতিপয় লোক কাঁচা ইট নিয়ে যাচ্ছে এমন অবস্থায় ইট নিতে বাধা দেওয়াতে ৭-৮ জনের একদল লোক এসে তাকে অতর্কিতভাবে হামলা করে মাথা পিঠ ঘাড়ে আঘাত করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
পরবর্তীতে তাকে একটি গুপ্ত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে আটকে রাখা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে হাজরা বাড়ি একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এলাকাবাসীর তথ্য মতে হামলাকালীরা হলো:
১। মোঃ শফিউর রহমান (৫৩), পিতা-মৃত আজিজুল হক, ২। মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩২), পিতা-মোঃ আঃ রশিদ, ৩। মোঃ মিনহাজ উদ্দিন (৩০), পিতা-জহুরুল ইসলাম, সর্ব সাং-পশ্চিম ফুলকুচা, ৪। মোঃ হলেমন ও ছলে (৫৪), পিতা-মৃত খোকা, সাং-পশ্চিম বাকাই, সর্ব থানা মেলান্দহ, জেলা-জামালপুর সহ অজ্ঞাত নামা আরও ৪/৫ জন।
মাসুদের ভাস্যমতে তাকে গুপ্তস্থানে আটকে রেখে ১০০ টাকার ৩ টি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর রেখে পরবর্তীতে মাসুদকে ছেড়ে দিলে কোনো রকমে ইটভাটায় যাওয়ার পর তার শারিরীক অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় কতিপয় লোক দ্রুত তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করে বলে মাসুদ গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়। তবে উক্ত বিষয়ে উল্লেখিত হামলাকারী চক্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনা এড়িয়ে যায়। তবে হাজরা বাড়ি একটি বেসরকারি ক্লিনিকে মাসুদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সত্যতা হাসপাতালের সিসি ফুটেজ থেকে পাওয়া যায়। আপোষের প্রস্তাব থাকার কারণে এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি।