
হাতিয়ায় ভুয়া জমির মালিকানা সেজে, অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টা।
মোঃ এনায়েত হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার ৬নং চরকিং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চর বগুলা গ্রামে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় একাধিক দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি ওই ভুক্তভোগীর পরিবার। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এদিকে ওয়ারিশ ওয়ানা জমির মালিক শফিকুল মাওলার ফুফী ভুয়া মালিকানা দাবি করে কিছু বিএনপির নামধারী নেতাদের ভাড়া করে এনে বাদীপক্ষের ওয়ারিশান সম্পত্তির দাবি করেন এবং জোরপূর্বক জমিতে মাটি কাটা শুরু করে। মোঃ মামুন উদ্দিনের সঠিক কাগজপত্র না থাকলেও জমি বিক্রি কিনে বলে একজন মালিক সাজিয়ে এনে ঐ জমি দলিল বিহীন জোরপূর্বক দাবি করেন এবং কিছু স্থানীয় বিএনপির কিছু ভাড়াটিয়া নেতাকর্মীদের নিয়ে শফিকুল মাওলার ফুফু এবং মোঃ মামুন বেকু মেশিন দিয়ে জমিতে মাটি কাটা শুরু করলে তার ছোট ভাই মুহাম্মদ হাসানুল মাওলা বাঁধা দিলে তাকে লাঠিসোঁটা নিয়ে মারধোর করতে আসে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
এমনকি তাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়।পরে শফিকুল মাওলার ছোট ভাই বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় একটি জিডি করেন ১৪ এপ্রিল সোমবার।
ভুক্তভোগী শফিকুল মাওলা বলেন, আসামী মোঃ মামুন ‘আমার ফুফুর কাছ থেকে জমি কিনেন বলে দাবি করেন।অথচ ছোটকাল থেকে আমার বাবা, জেঠা ওই জমিতে চাষ করে আসছে। হঠাৎ করেই মোশারফ হোসেন এর ছেলে মামুন আমাদের জমি দখল করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি আমাদের নামে মিথ্যা মামলা পর্যন্ত দায়ের করে।যদি আসামী পক্ষে কোন প্রকার কাগজপত্র থাকে তাহলে তারা বৈঠকে বসলে তাদের কাগজপত্রের মাধ্যমে তারা যদি ঐ জমির প্রকৃত মালিক হয় তাহলে আমরা ছেড়ে দিবো।এছাড়া এই জমি থেকে আমার ফুফু কোন ভাগ পাবেনা বলে জানান,শফিকুল মাওলা।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে আলাপকালে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ,কে,এম আজমল হুদা বলেন, ওই জমি নিয়ে হাতিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংবাদিক শফিকুল মাওলা ১৪ এপ্রিল সোমবার রাতে। আমরা উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনুরোধ জানিয়েছি।