অসহায় হয়ে মামলার আশ্রয় নিলেন ভুক্তভোগী কৃষক।
মাহফুজুর রহমান রিভু
জয়পুরহাট - সংবাদের পাতা:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার সোনাপাড়া, বিনধারা গ্রামের কৃষক মো: লাবলু শেখ দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন মোছা: সালমা বেগমকে। ২০২৫ সালের ১৮ জানুয়ারি তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
বিয়ের মাত্র এক মাস পর, সালমা বেগম সাজ্জাদ হোসেন নামের এক যুবকের সাথে পালিয়ে যান। পালানোর সময় তিনি ঘর থেকে স্বর্ণের চেইন, হাতের চুড়ি, কানের দুল এবং ভিভো কোম্পানির দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে যান, যার আনুমানিক বাজারমূল্য এক লক্ষ বাইশ হাজার থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে।
কৃষক লাবলু শেখ পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীর আত্মীয়স্বজনের বাড়ি-ঘরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সালমা বেগম সাজ্জাদ হোসেনের সাথে পালিয়ে গিয়েছেন। স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মোবাইল বন্ধ পায় লাবলু শেখ। পরবর্তীতে সালমা বেগমের অবস্থান নিশ্চিত করে সেখানে গিয়ে লাবলু শেখ কথা বলার চেষ্টা করলে, তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে যেন আর ঐ বাড়িতে না যান মো: লাবলু শেখ।
ঘটনার পর লাবলু শেখ আইনি আশ্রয় নেন এবং বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী সালমা বেগম পরবর্তীতে একটি তালাকনামা পাঠান, যেখানে তারিখ উল্লেখ রয়েছে ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল। বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে লাবলু শেখ বলেন, আমরা বিয়ে করেছি ২০২৫ সালের ১৮ জানুয়ারি। তাহলে বিয়ের আগেই কিভাবে তালাকনামা পাঠানো হলো?
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ন্যায়বিচারের আশায় আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মো: লাবলু শেখ।
অন্যদিকে সালমা বেগমের বর্তমান স্বামী সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সাদ্দাম হোসেন সংবাদের পাতাকে জানায় এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এগুলো সব মিথ্যা ও বানোয়াট।