নড়িয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে হামলা থানায় অভিযোগ দায়ের।
এস এম জীবন রায়হান : শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলা অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার ( ৬ মে ) সকাল ৮ টার সময় উপজেলার চামটা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা জিন্নাতুন নেছা (৬০) তার বসতবাড়িতে হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন।
জিন্নাতুন নেছার ছেলে রফিক কোতোয়ালের অভিযোগ, জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদীসহ তিন জন আঃ হাই সরদার, রফিক সরদার, পপি বেগম মিলে দীর্ঘদিন ধরে তাদের ক্রয়কৃত জমি দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ৬ মে সকালে তার মা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বিবাদীরা তার মা জিন্নাতুন নেছা কে মারধর করেন
রফিক কোতোয়াল আরও জানান, তার মায়ের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে বিবাদীরা পালিয়ে যায়। তিনি দাবি করেন, হামলায় তার মা গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রফিক কতোয়াল নড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
এ বিষয় অভিযুক্ত আব্দুল হাই বলেন, আমাদের এজমালি যায়গায় জিন্নাতুন নেছার বাশঁ দিয়ে যাতায়াতের পথ বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দেন এই বিষয় তার কাছে জানতে গেলে তিনি তার হাতে থাকা বাশঁ দিয়ে আমাকে আঘাত করতে গেলে পরে গিয়ে তার কপাল ফেটে যায় । আমি তাকে কোন আঘাত করি নাই
অভিযুক্ত রফিক সরদার বলেন, আমি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম না বাড়িতে মানুষের ডাক চিৎকার শুনে বাড়িতে এসে জানতে পারি জিন্নাতুন নেছা বাড়ির পথে বেড়া দিছে সেটা নিয়ে আমার বাবার সাথে কথা কাটা কাটির এক পর্যায় আমার বাবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জিন্নাতুন নেছা বাশঁ দিয়ে বারি দিতে গিয়ে নিজে পরে গিয়ে কপাল ফেটে যায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল আঃ হাই সরদার ও জিন্নাতুন নেছার মাঝে এই নিয়ে বিবাদের সৃষ্টি হয়। কিছু দিন আগে সালিস করে আঃ হাই সরদার ও জিন্নাতুন নেছা কে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয় ও খুঁটি গেঁড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে জিন্নাতুন নেছা এজমালি যায়গায় বাশঁ দিয়ে বেড়া দিতে গেলে। এ নিয়ে আঃ হাই সরদার ও জিন্নাতুন নেছা মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পরিবারের সদস্যরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে জিন্নাতুন নেছা আহত হয়েছেন।