
শরীয়তপুরে জমি নিয়ে বিরোধে হা ম লা, ভাঙচুর ও বসত বাড়ী দ খ লে র চেষ্টা।
এস এম জীবন রায়হান – সংবাদের পাতা:
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধের জের ধরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় একটি বাড়ি আংশিকভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিপক্ষ জমিসহ বাড়ীটি দখলেরও চেষ্টা করেছে।
ঘটনাটি গত শনিবার ( ৩ মে) সকালে উপজেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের কালা মিয়া সরকার কান্দি এলাকায় ঘটেছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী মালেক প্রধানীয়া পূর্বে সখিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
হামলা ও ভাংচুরে অংশ নেওয়া অভিযুক্তরা হলো উপজেলার তারাবুনিয়া কালা মিয়া সরকার কান্দি এলাকার আ: রহমান প্রধানীয়ার ছেলে জাকির হোসেন প্রধানীয়া ,আবুল কালাম প্রধানীয়া সহ অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মালেক প্রধানীয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো প্রতিবেশী আ: রহমান প্রধানীয়ার সাথে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক বার মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। এনিয়ে গত শনিবার স্থানীয় সালিসির মাধ্যমে জমিটি মাপার কথা থাকলেও রহমান প্রধানীয়া জমিটি নিজের দাবি করে মাপতে রাজি হয় নি।
পরে বিষয়টি নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মালেক প্রধানীয়ার বাড়ীতে হামলা চালায় রহমান প্রধানীয়া সহ তার ছেলেরা। হামলায় ঘরের বেড়া সীমানা প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি বাড়ীটি ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টাও করা হয়।
পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে দুপক্ষকেই শান্ত থানার পরামর্শ দেন।
এর আগে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালেক প্রধানীয়া, স্ত্রী নাসিমা বেগম ও কলেজ পড়ুয়া মেয়ের উপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা।
এসময় মালেক প্রধানীয়া গুরুতর আহত হলে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থায় অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়।
হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধভাবে আসে। তারা হামলার সময় আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং স্থানীয়দের কেউ এগিয়ে এলে তাকেও হুমকি দেয়। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় অভিযোগ করলেও বিচার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী পরিবারটি এমনি মত প্রকাশ করেন।
মানুন সরকার নামে স্থানীয় একজন বলেন, জমিজমা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। এনিয়ে দু’মাস আগে মারামারির ঘটনা ঘটেছে তখন এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা তাদের মিলিয়ে দিয়েছিলাম। এবারও আমরা স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করেছিলাম মিমাংসা করার কিন্তু জাকির প্রধানীয়া মানতে চায় না।
গত শনিবার আমাদের বসার কথা ছিলো একটু ঝামেলার কারণে বসতে পারি নি। এরপর সময় বাড়িয়ে বিষয়টি মিমাংসা করার কথা থাকলেও হটাৎ শুনলাম জাকির সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়ে এসেছে। আমরা স্থানীয়ভাবে তাদের দুপক্ষই ভালো থাকুক এটাই চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির প্রধানীয়া দাবি করেন, “এই জমির মালিক আমরা। কাগজপত্র আমাদের পক্ষে আছে। সেনাবাহিন ও পুলিশ এসেছিলো তারা দেখে গেছে। আমরা কারো ওপর হামলা অথবা ভাংচুর করিনি।”
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুল হক বলেন, “আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”