শরীয়তপুরে নদীতে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে নৌ-পুলিশ।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি - সংবাদের পাতা:
পদ্মা মেঘনা বেষ্টিত শরীয়তপুরে নদীতে ব্লাকহেড, ট্রলার সহ বিভিন্ন নৌযান থেকে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ করে নিরাপদ নৌ-রুট গঠনে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে নৌ-পুলিশ। তারা জিরো টলারেন্স নীতিতে নদীতে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা টহলের পাশাপাশি চালানো হচ্ছে প্রচারণা। পুলিশের দাবি, হয় চাঁদাবাজ থাকবে না হয়, নৌ-পুলিশ থাকবে।
সরেজমিন গিয়ে ও মাঝির ঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানাগেছে, পদ্মা সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে রয়েছে মাঝির ঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। গত দুই মাস সারাদেশের ন্যায় সরকারঘোষিত ইলিশ মাছের অভায়শ্রম এলাকা শরীয়তপুরের পদ্মা জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য ছিল। এসময় অনান্য বছরের তুলনায় কঠোর ভূমিকা নিয়ে কাজ করেছে শরীয়তপুরের তিনটি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। এর পরপরই পদ্মা নদী তথা মাঝির ঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন এলাকায় চাঁদাবাজদেরদ দৌরাত্ম দেখা যায়। এই সময়েই গত ২৩ এপিল ওই ফাঁড়ির আইসি (পুলিশ পরিদর্শক) হিসেবে যোগদান করেন সৈয়দ মোশারফ হোসেন। যোগদানের পররেই তিনি নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমানের নির্দেশনায় নদীতে চাঁদাবাজ ও বালু খেকোদের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি গ্রহন করে মাঠে নামে। এ পর্যন্ত ১০ টি মামলা হয়েছে। এতে অন্তত ২৫ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি কয়েক লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়েছে। ফলে জনমনে বিশেষ করে নৌ রুটে চলাচলকারী ও ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে । আর এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদবাজ ও কুচক্রীমহল। এ কারণে তারা নানান মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাঝিরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (পুলিশ পরিদর্শক) সৈয়দ মোশারফ হোসেন বলেন, আমার নেতৃত্বে দুই জন এসআই, একজন এএসআই, এক জন নায়েক ও পাঁচ জন কনষ্টেবল রয়েছে। এই টিম নিয়ে পাশাপাশি পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় জাটকা নিধন বন্ধে সফলতার পর এখন চাঁদাবাজী বন্ধেও কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বিশেষ করে, নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমানের নির্দেশনায় নদীতে চাঁদাবাজ ও বালু খেকোদের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি গ্রহন করে মাঠে নামে। এ পর্যন্ত ১০ টি মামলা হয়েছে। এতে অন্তত ২৫ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি কয়েক লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়েছে। আইন অমান্যকারী যেই হোক; কোনো ছাড় দেয়া হচ্ছে না, হবেও না। তবে, কিছু চাঁদাবাজ ও কুচক্রীমহল নৌ-পুলিশের জনবান্ধব কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু তারা কখনোই সফল হবে না, হয় চাঁদাবাজ থাকবে না হয়, নৌ-পুলিশ থাকবে।