শরীয়তপুরে ধান ক্ষেতের ব্লক প্রকল্পের পাইপ চুরির অভিযোগ।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি - সংবাদের পাতা:
শরীয়তপুর সদর উপজেলার দেওভোগ
গ্রামের একটি ধান ক্ষেতের ব্লক প্রকল্পের পাইপ চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই প্রকল্পের সভাপতি মো. হাসেম আকন বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় দুই জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগসূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ শরীয়তপুর সদর উপজেলার দেওভোগ গ্রামের মো. হাসেম আকনের নেতৃত্বে সালাম বেপারী, মহব্বত খান মাসুদ ও ইসমাইল বেপারী একটি ধান ক্ষেতের ব্লক প্রকল্প পরিচালনা করে আসছেন। গত ৫ মে ওই প্রকল্পের ৫টি মূল্যবান পাইপ পার্শ্ববর্তী বাবু চৌধুরীর মাছের প্রজেক্টের ভিতরে মজুদ রেখে আসেন হাসেম আকন। তবে ১০ মে রাত দেড় টার দিকে ওই ধান ক্ষেতের ব্লকের প্রকল্পের পরিচালক ইসমাইল বেপারী ও মাছের খামার প্রজেক্টের ম্যানেজার নাঈম সরকার ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি পাইপ চুরি করে ব্যাটারী চালিত ভ্যান গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় আক্তার খান, সোহাগ খান, অনিক সিকদার, হানিফ খান মিলে আটক করার চেষ্টা করে। সুকৌশলে ইসমাইল ও হানিফ পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পাইপ দুইটি উদ্ধা করে বুড়িরহাট পুলিশ ফাড়িতে পুলিশ হেফাজতে রেখে আসেন হাসেম আকন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করে পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন হাসেম।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালেও ১টি ২০ ঘোড়া পানির মটর, ১টি ফুটবল, ১টি ভ্যান ও মালা, ১৫ হাজার টাকা মূল্যের বৈদ্যুতিক তার, সহ প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী হাসেম আকন বলেন, আমাদের ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি পাইপ ইসমাইল বেপারী ও নাঈম সরকার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার কাছে ধরা পড়ে পাইপ রেখে পালিয়ে যায়। আমরা পাইপ উদ্ধার করে বুড়িরহাট পুলিশ ফাঁড়িতে জমা রাখি। এরআগেও ২০২৪ সালেও আমাদের দেড় লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়। আমাদের ধারনা, এই চুরিও ইসমাইল বেপারী ও নাঈম সরকারই করেছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার কামনা করছি ও দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইসমাইল বেপারী বলেন, নাঈম সরকার আমার থেকে চেয়ে দুইটি পাইপ ১৫ দিনের জন্য নিয়েছিলো। মহব্বত খান মাসুদের সাথে নাঈম সরকারের পূর্বশত্রুতা থাকায় তিনি আমাদের হয়রানি করছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে নাঈম সরকার বলেন, মানবিক কারণে আমাদের প্রজেক্টে তাদের ৫টি পাইপ রাখতে দিয়েছি। কয়েকদিন আগে ইসমাইল বেপারীর থেকে অনুমতি নিয়ে ২টি পাইপ আমাদের গোসাইরহাটের মাছের খামারের জন্য চেয়ে নিয়েছিলাম। আমার সাথে
মহব্বত খান মাসুদের পূর্বশত্রুতা রয়েছে। তাই মাসুদ, হাসেম আকন ও সালাম বেপারী এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে আমাকে হয়রানির পায়তারা করছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ওসি হেলাল বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।