সবার কথা বলে

কুমারখালীর হাটগুলোতে পশুর পর্যাপ্ত আমদানি থাকলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা

0 13
কোরবানি উপলক্ষ্যে জমে উঠেছে পশুর হাট। কুমারখালীর হাটগুলোতে পশুর পর্যাপ্ত আমদানি থাকলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা।

মোশারফ হোসেন কুমারখালী – (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:

নিত্যপণ্যের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম। লাগামহীনভাবে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন কোরবানির পশু প্রস্তুতকারী খামারিরা। লোকসানের আশঙ্কায় এরই মধ্যে অনেক খামারি তাঁদের পালিত পশু বিক্রি করতে শুরু করেছেন। এতে কোরবানির হাটগুলোতে পশুর পর্যাপ্ত আমদানি থাকলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা।

ঘনিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। দিন যত পার হচ্ছে ততই জমে উঠছে কোরবানি পশু কেনা-বেচা। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে পশু কোরবানি দেবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কুমারখালী উপজেলায় কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৪০০ টি । এর মধ্যে ষাঁড় ১২ হাজার ৯ শ’ ১৭ টি,  ছাগল ৭ হাজার ৯ শ’ ৭৬ টি, গাভী ১ হাজার  ৩ শ’ ৬৫  টি, ভেড়া ১ শ’ ৪০ টি।  প্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুত এই উপজেলার পশুর চাহিদা রয়েছে সারা দেশে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

দিন যত যাচ্ছে, ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন উপজেলার পশু খামারিরা। নিজেদের লালন-পালন করা পোষা গবাদি পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। যার মধ্যে রয়েছে দেশী-বিদেশী জাতের বিভিন্ন প্রজাতির পশু। ইতোমধ্যে অনেক খামারি নিজেদের গবাদি পশু বিক্রির জন্য বাজারে তোলা শুরু করেছেন। ঘাস-খড়-ভুসি এবং দানাদার খাদ্য খাইয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে এসব গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন তারা।

সরেজমিনে নন্দুলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারিরা গরু-ছাগল বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন। বিক্রেতা মো. লিটন, ইব্রাহিম ও হারুন জানান, বাজার এখনো পুরোপুরি জমে উঠেনি। তবে দিন যত যাবে, ততই জমতে শুরু করবে বাজার। বর্তমানে গত বছরের তুলনায় ক্রেতারা পশুর দাম কম বলছে। প্রাকৃতিক উপায়ে এসব পশু মোটাতাজা করায় আমাদের খরচ বেশি হয়েছে। তাই আমরা চেষ্টা করবো ব্যয় বাদে মোটামুটি সন্তোষজনক কিছু আয় হলেই পশু বিক্রি করার।

উপজেলার নন্দুলালপুর ইউনিয়নের  এলাকার গরু বিক্রেতা লিটন বলেন, এ বছর একটি দেশি গরু কোরবানিতে বিক্রির জন্য পালন করেছি। এই প্রথম বাজারে তুলেছি গরুটি। এটির দাম চাচ্ছি দেড় লাখ টাকা। ক্রেতারা এক লাখ টাকা বলছে। তবে ক্রেতারা দাম আরেকটু বাড়িয়ে বললেই বিক্রি করে দেবো গরুটি।এদিকে, কোরবানি উপলক্ষে সাধ্যের ভেতর পছন্দের পশুর খোঁজ করছেন ক্রেতারা।

এমনই এক ক্রেতা মো. সোহেল। তিনি জানান, এ বছর কোরবানিতে পশু কেনার জন্য বরাদ্দ ১ লাখ টাকা। তবে যেটি পছন্দ হয় তার দাম বাজেটের চেয়েও অনেক বেশি। এ জন্য এরইমধ্যে কয়েকটি বাজার ঘুরেছি পছন্দের পশু কেনার জন্য। বাজেটের মধ্যে পছন্দের পশু পেলে শিগগিরই কিনে নেবো। তবে বাজার ঘুরে যতটুকু মনে হয়েছে; গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর দামি কিছুটা বেশি।

এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বছরের বিভিন্ন সময় উপজেলার খামারি ও গবাদি পশু লালন-পালনকারীদের প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকছি। তবে কোরবানিকে সামনে রেখে কোনো খামারি যেন কৃত্রিমভাবে গবাদি পশুকে মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি অবলম্বন করতে না পারে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। এ ছাড়া কোরবানি পর্যন্ত আমাদের ৪টি টিম উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে নিয়মিত তদারকি করবে।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.