0 6

নাগেশ্বরীতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ককে মৌসুমী পাখি বলায় সংবাদ সম্মেলন।
হাফিজুর রহমান হৃদয়/কুড়িগ্রাম
সংবাদের পাতা:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম রসুল রাজাকে ‘মৌসুমী পাখি’ মন্তব্য করার প্রতিবাদে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুর রহমান রানার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে রানাই ‘মৌসুমি পাখি’ বলে অভিযোগ করেন দলটির নেতারা।
শনিবার সকালে বাসস্ট্যান্ডে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিবাদ জানান গোলাম রসুল রাজা। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক শফিউল আলম শফি, যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সরকার, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক। এছাড়াও উপজেলা ও পৌর কমিটির নেতৃবৃন্দ ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম রসুল রাজা বলেন, এ মন্তব্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত, কুরুচিপূর্ণ ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, “১৯৮৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলে যোগ দিয়ে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। ১৯৯৯ সালে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, ২০০৯ ও ২০১৫ সালে পরপর দু’বার সভাপতি নির্বাচিত হই। বর্তমানে আহŸায়ক আছি। সাইফুর রহমান রানা দলীয় সৌহার্দ্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র করছেন।”
দলের অন্য নেতারা অভিযোগ করেন, সাইফুর রহমান রানা দীর্ঘ সময় জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেছেন। দলে এসে একক আধিপত্য ও স্বেচ্চারিতা করে চলেছেন। উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল আলম শফি বলেন, গোলাম রসুল রাজা মাঠের কর্মী। আমি বলবো সাইফুর রহমান রানা ‘মোসূমী পাখি’। তিনি জাতীয়পার্টির সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির জেলা কমিটিতে ছিলেন। সেখান থেকে ১৯৯১ সালে জেলা যুবদলে যোগ দেন। পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক দাবী করে বলেন, সাইফুর রহমান রানা তার পত্রে ১৯৯১ সালে থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তার বাসায় উপজেলা বিএনপির অফিস ছিল বলে মিথ্যা ও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন। শহরের বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন ভাড়া ঘরে দলের অফিস পরিচালনা করা হয়েছিল। তিনি তার বাসায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিজস্ব অফিস করেছেন।
মূলত, গত ৪ আগস্ট সাইফুর রহমান রানাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় জেলা বিএনপি। নোটিশে বলা হয়, গত ৭ এপ্রিল নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। যার নির্দিষ্ট একটি অফিস বিদ্যমান। তারপরও আপনি পূর্বের নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির সাইনবোর্ড ও অফিসটি এখনও আপনার বাসভবনে খুলে রেখেছেন। যা দলের শৃংখলা পরিপন্থি। এমতাবস্তায় আপনার বিরুদ্ধে দলের শৃংখলা ভঙ্গ এবং গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপের জন্য কেনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিন্ম স্বাক্ষরকারীগণের কাছে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য বলা হইল।
গত ৭ আগষ্ট শোকজ প্রসঙ্গে সাইফুর রহমান রানা জেলা বিএনপির প্যাডে উল্লেখ করেন ১৯৯৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির কার্যালয় তার বাড়িতে ছিল এবং সেখান দলীয় সকল কার্যক্রম পরিচালিত হতো। মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে শোকজ ও ভিডিও ভাইরাল করে একজন রাজনৈতিক কর্মীকে হেয় করা গঠনতন্ত্রের কোন ধারায় বিদ্যমান সেটিও উল্লেখ করেন। এ পত্রে উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক গোলাম রসুল রাজাকে ‘মৌসুমি পাখি’ মন্তব্য করেন তিনি। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা বিএনপি।
এর আগে গত ৫ আগষ্ট বিকেল ৩টায় উপজেলা চত্বরের মুক্তমঞ্চে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি কর্মসূচী পালন করে উপজেলা বিএনপি। ওইদিন সকাল ১১টায় গণমিছিল করে সাইফুর রহমান রানা ও তার লোকজন। এ নিয়ে দুটি ভাগ সামনে চলে আসে।
সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে সাইফুর রহমান রানা বলেন, তাদের এসব কর্মকান্ডে আমার কোন বক্তব্য নেই। আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি করেছি। ছাত্রদলের প্যানেলে ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছি। জেলা যুবদলের সভাপতি ছিলাম। দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।
শনিবার সকালে বাসস্ট্যান্ডে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিবাদ জানান গোলাম রসুল রাজা। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক শফিউল আলম শফি, যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সরকার, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক। এছাড়াও উপজেলা ও পৌর কমিটির নেতৃবৃন্দ ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম রসুল রাজা বলেন, এ মন্তব্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত, কুরুচিপূর্ণ ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, “১৯৮৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলে যোগ দিয়ে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। ১৯৯৯ সালে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, ২০০৯ ও ২০১৫ সালে পরপর দু’বার সভাপতি নির্বাচিত হই। বর্তমানে আহŸায়ক আছি। সাইফুর রহমান রানা দলীয় সৌহার্দ্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র করছেন।”
দলের অন্য নেতারা অভিযোগ করেন, সাইফুর রহমান রানা দীর্ঘ সময় জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেছেন। দলে এসে একক আধিপত্য ও স্বেচ্চারিতা করে চলেছেন। উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল আলম শফি বলেন, গোলাম রসুল রাজা মাঠের কর্মী। আমি বলবো সাইফুর রহমান রানা ‘মোসূমী পাখি’। তিনি জাতীয়পার্টির সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির জেলা কমিটিতে ছিলেন। সেখান থেকে ১৯৯১ সালে জেলা যুবদলে যোগ দেন। পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক দাবী করে বলেন, সাইফুর রহমান রানা তার পত্রে ১৯৯১ সালে থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তার বাসায় উপজেলা বিএনপির অফিস ছিল বলে মিথ্যা ও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন। শহরের বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন ভাড়া ঘরে দলের অফিস পরিচালনা করা হয়েছিল। তিনি তার বাসায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিজস্ব অফিস করেছেন।
মূলত, গত ৪ আগস্ট সাইফুর রহমান রানাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় জেলা বিএনপি। নোটিশে বলা হয়, গত ৭ এপ্রিল নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। যার নির্দিষ্ট একটি অফিস বিদ্যমান। তারপরও আপনি পূর্বের নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির সাইনবোর্ড ও অফিসটি এখনও আপনার বাসভবনে খুলে রেখেছেন। যা দলের শৃংখলা পরিপন্থি। এমতাবস্তায় আপনার বিরুদ্ধে দলের শৃংখলা ভঙ্গ এবং গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপের জন্য কেনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিন্ম স্বাক্ষরকারীগণের কাছে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য বলা হইল।
গত ৭ আগষ্ট শোকজ প্রসঙ্গে সাইফুর রহমান রানা জেলা বিএনপির প্যাডে উল্লেখ করেন ১৯৯৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির কার্যালয় তার বাড়িতে ছিল এবং সেখান দলীয় সকল কার্যক্রম পরিচালিত হতো। মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে শোকজ ও ভিডিও ভাইরাল করে একজন রাজনৈতিক কর্মীকে হেয় করা গঠনতন্ত্রের কোন ধারায় বিদ্যমান সেটিও উল্লেখ করেন। এ পত্রে উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক গোলাম রসুল রাজাকে ‘মৌসুমি পাখি’ মন্তব্য করেন তিনি। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা বিএনপি।
এর আগে গত ৫ আগষ্ট বিকেল ৩টায় উপজেলা চত্বরের মুক্তমঞ্চে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি কর্মসূচী পালন করে উপজেলা বিএনপি। ওইদিন সকাল ১১টায় গণমিছিল করে সাইফুর রহমান রানা ও তার লোকজন। এ নিয়ে দুটি ভাগ সামনে চলে আসে।
সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে সাইফুর রহমান রানা বলেন, তাদের এসব কর্মকান্ডে আমার কোন বক্তব্য নেই। আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি করেছি। ছাত্রদলের প্যানেলে ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছি। জেলা যুবদলের সভাপতি ছিলাম। দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।