শরীয়তপুরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে দুইটি বাল্যবিবাহ বন্ধ, জরিমানা।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি - সংবাদের পাতা:
শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বন্ধ করা হলো ২টি বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহের ঘটনায় অভিভাবদের ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলোরা ইয়াসমিন। এরআগে দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ বাল্যবিবাহ বন্ধ এবং জরিমানা করেন তিনি।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় প্রবাসী জলিল বেপারীর মেয়ে ইকরা (১৫ বছর ৯ মাস) এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। তার সাথে নড়িয়া উপজেলার এক ছেলের সাথে বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয়। একই এলাকায় মো. জাহাঙ্গীর মুন্সীর মেয়ে অথই ইসলাম (১৩ বছর ১০ মাস)। তিনি শৌলপাড়া মনোয়ার খান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তার সাথে জাজিরা উপজেলার এক ছেলের সাথে বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই দুটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলোরা ইয়াসমিন। এছাড়াও কনে পক্ষের অভিভাবকদের ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইলোরা ইয়াসমিন বলেন, শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের আওতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় এলাকার প্রবাসী জলিল বেপারীর মেয়ে ইকরা (১৫ বছর ৯ মাস) এবং মো. জাহাঙ্গীর মুন্সীর মেয়ে অথই ইসলামের (১৩ বছর ১০ মাস) বাল্য বিবাহের আয়োজন করতে দেখা যায়। জন্মনিবন্ধন যাচাইপূর্বক তাৎক্ষণিক ২টি বাল্যবিবাহই বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮ বছর হওয়ার পূর্বে যেন তাদের বিয়ে দেয়া না হয়- সে মর্মে পিতামাতাসহ অন্য অভিভাবকদের অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়। এ সময় উভয় পরিবারকে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।