
বাবার হাতেই ছেলে খুন, ৭দিনেই আসামী গ্রেফতার।
জামাল উদ্দিন
নিজস্ব প্রতিনিধি-(মিরসরাই,চট্টগ্রাম):
মিরসরাইয়ের মায়ানীতে শাহেদ হ*ত্যা-র প্রধান আসামি পিতা নুরুজ্জামানকে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ সিলেট দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকা থেকে গ্রে’ফ’তা’র করেছে র্যাব-৭৷ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মীরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান।
উল্লেখ যে, মিরসরাইতে বাবার ছুরির আঘাতে ছেলে খুন হয় বলে অভিযোগ উঠে। সৌদি আরব প্রবাসী মো: নুরুজ্জামান (৬৫) দেশে এসে নিজের ইচ্ছায় দ্বিতীয় বিয়ে করলে মা ও ছেলে বাধা দেয়। এতে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ছেলে সাহেদ(২৭) বাবার ছুরিকাঘাতে খুন হয়।
গত ১০সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডের ঘড়ি মার্কেট এলাকায় শেখ আকনের বাড়িতে এ ধরণের ঘটনা ঘটে।
নিহত সাহেদ ঐ এলাকার শেখ আকনের বাড়ির মো: নুরুজ্জামান ও কামরুজ্জাহান দম্পতির একমাত্র ছেলে। চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় এর কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন নিহত সাহেদ। বাবা সৌদি প্রবাসী দীর্ঘদিন ধরে অন্য নারীতে আসক্ত হয়ে স্ত্রী কামরুজ্জাহানকে তালাক দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। দেশে এসেই বিয়ে করে নেয় অন্য নারীকে। ঘটনা সত্যতা পেলে প্রথম স্ত্রী কামরুজ্জাহান ও তাদের একমাত্র ছেলে আপত্তি জানায়। এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা চলা কালীন বাবা
কামরুজ্জাহানকে (সাহেদ এর মাকে) চুলের মুঠি ধরে মারতে চাইলে ছেলে বাধা দেয়। এতে ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বাবা মো: নুরুজ্জামান ছুরি চালালে ছেলের বুকে এসে তা লাগে।পরিবার ও লোকজনের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স( মস্তান নগর হাসপাতাল) এ আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন এবং বলেন হাসপাতালে আনার পূর্বেই বা ঘটনস্থলেই ছেলের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর মা কামরুজ্জাহান, বাবা নুরুজ্জামান কে প্রধান আসামী করে মিরসরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করলে গতকাল ১৫সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে সিলেট দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকা থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী সহ প্রধান আসামি নুরুজ্জামান কে গ্রেপতার করতে সক্ষম হয় র্যাব-৭। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মীরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান।