
(২৪মে) শনিবার সহধর্মিণী কে নিয়ে আমেরিকা থেকে নিজ দেশে আসার সময় ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট এ আটক করা হয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কে।
জানা যায় তিনি ২৬ জুলাই আমেরিকার একটি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে জুলাই আন্দোলন চলা কালীন সময়ে আমেরিকা যান।তখনো তিনি জানতেন না যে দেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। বা দেশের প্রধান মন্ত্রী এভাবে চলে যাবেন। তিনি আমেরিকা যাওয়ার পর ঘটনাগুলো ঘটে। যখন দেশ থেকে সব নেতা কর্মীগণ পলায়ন করার নেশায় ঘুরছে, পাসপোর্ট অফিস আর ভীসা নেওয়ার তোড়জোড়ে তখন এই ক্লান্তিলগ্নে তিনি ফিরে আসলেন নিজ দেশে। এ যেন এক ভিন্ন রকম অপতৎপরতা দেখালেন তিনি এমন মন্তব্য অনেকের।
তিনি আরো বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন দীর্ঘ ১৭বছর নির্যাতিত ছিলেন নিজ দলের কর্মিদের মাধ্যমে। বিরোধী দল না হয়েও তিনি বিরোধী দলের মত নির্যাতিত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন এই নেতার সহধর্মিণী। তিনি নির্বাচন করতে চাইলেও তা কাজে লাগাতে পারেন নি প্রভাবশালী নেতাদের জন্য।তাঁর কর্মীদের মারধর ও গুম সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলো একই দলের নেতাকর্মীরা এমন তথ্যও দেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি দেশে ফিরে আসার কারন হিসেবে বলেন, একসময়ের এই বর্ষীয়ান নেতা আজ অর্থ সংকটেও ভুগছেন। তাঁর বড় ছেলে সবে মাত্র একটা চাকুরিতে জয়েন্ট করেছেন। ছোট ছেলে এখনো লেখাপড়া করছেন দেশের বাহিরে তার জন্য টাকা পাঠাতে হয় প্রতিনিয়ত। পরিবারের খরচ ও ছেলের পড়া লেখার খরচ বহন করতে তাঁর কষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেই চিন্তা থেকেও তিনি দেশে ফিরে আসছেন বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই নেতার স্ত্রী।
তাঁর গ্রেপ্তারের পর নিজ এলাকায় অনেকে এর তীব্র নিন্দা জানান, এবং বলেন তিনি জনদরদী ও একজন মানবকর্মি, যিনি হাসপাতালে অসহায় মুহুর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ান। কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই সহযোগিতা করে আসছেন দীর্ঘ বছর ধরে।তাকে এভাবে জড়িয়ে অপবাদ দিয়ে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে আসামি বানানো অনৈতিক বলেও মন্তব্য করেন এলাকাবাসী।