
শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে দুই গ্রপে সং-ঘ-র্ষ আহত ১
শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি
এবি এম জিয়াউল হক টিটু:
শরীয়তপুরের জাজিরায় উপজেলায় বিলাস পুর ইউনিয়নে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ককটেল বোমা বিস্ফোরণে এক যুবকের পেটের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে।
২৭ মার্চ বুধবার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে বিলাসপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।এ সময় স্থানীয়রা তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মুমূর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন ।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কবির আলম।আহত সজিব মুন্সী (২৫) বিলাসপুর ইউনিয়নের মিয়া চান মুন্সী কান্দি এলাকার মোহাম্মদ আলী মুন্সির ছেলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ কুদ্দুস ব্যাপারীর গ্রুপ এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আঃ জলিল মাদবরের গ্রুপের মধ্যে এর আগেও দফায়-দফায় সংঘর্ষ হয়। জাজিরা থানায় বিলাস পুরের সর্বমোট ১০টি মামলা রয়েছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে মিয়া চান মুন্সী কান্দি গ্রামের দুই চাচাত ভাই জমি নিয়ে মারামারি করে। বিকেলে ওই ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুস ব্যাপারী ও জলিল মাদবর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
এতে করে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়। এমন খবর পেয়ে অত্র এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশের কয়েকটি টিম পাহাড়ায় থাকলেও বুধবার সন্ধ্যায় আবার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে সজিব মুন্সী নামে একজন গুরুতর আহত হন।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আঃ জলিল মাদবর বলেন, মঙ্গলবার জমি নিয়ে দুই চাচাতো ভাইয়ের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যার পরে কুদ্দুস ব্যাপারীর লোকজন বাড়িঘর লুটপাট করেছে। বুধবার রাতে কুদ্দুস ব্যাপারী নিজে তার লোকজন নিয়ে এসে বোমা মারে। বোমার আঘাতে আমার সমর্থক সজিব নামের একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আমি ঢাকায় আছি, এ ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করব।
এ ঘটনায় বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস ব্যাপারী বলেন, মহর খার কান্দি নামে একটি গ্রাম আছে। ওখানে বসে আমার ৫-৬ জন লোক চা পান করতেছিল। এমন অবস্থায় জলিল মাদবর গ্রুপের একদল লোক বোমা নিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে আমার লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। যতটুকু জানতে পেরেছি, ধাওয়া দিতে গিয়ে জলিল মাদবর গ্রুপের আহত ওই লোকটা বোমা নিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে গিয়েছিল। এরপর বোমা বিস্ফোরণ হয়ে সে আহত হয়েছে। বিলাশপুরের জনপ্রতিনিধি হিসাবে সবাই আমার লোক কিন্তু কিছু মানুষ প্রায় সময় সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে চায়।
জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে বোমা বিস্ফারণ হয়ে সজিব নামে এক যুবক আহত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ ঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।