
গলাচিপায় বাজারের দোকান নিয়ে হামলায় দু’ই বোন গুরুত্বর আহত।
মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল-সংবাদের পাতা:
ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরখালি গ্রামের মৃতঃ মোসলেম হাওলাদার এর দুই ছেলে।ল প্রাবাসী ইব্রাহিম ও ফয়সাল এর কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে শ্রীনাথ বাজারে আপন বোন মাকসুদার মাধ্যমে একটি দোকার ঘর উঠায়। সেই দোকান ঘড় ছয় বছর পরে প্রাবাসী ইব্রাহিম এর ছেলে ইরফান ও আপন বোনের ছেলে (ভাগিনা) হামজা একত্রিত হয়ে পুরাতন দোকান ঘড় সংস্কার করতে গেলে, দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেন আপন দুলা ভাই ( ভগ্নি পতি) আবুকালাম।
এর প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর সরানাপন্য হলে দীর্ঘ ১৫ দিন কোন সমাধান না পেয়ে গত ২ আগষ্ট শুক্রবার সকাল আনুমানিক সারে নয়টার দিকে মাসুদা ও তার ছেলে হামজা এবং ইব্রাহিম এর ছেলে ইরফান দোকানে টিন লাগাতে গেলে অতর্কিত হামলা চায় দুই ভাই আবু কালম, আফজাল এবং আফজাল এর স্ত্রী তানিয়া।
হামলার ঘটনায় আপন বোন মাসুদা, ভাগ্নে হামজা ও ভাতিজা ইরফান কে বাচাঁতে গিয়ে দেবর আফজালের হাতে থাকা দেশীয় ধারালো বাংলা দা’য়ের এলোপাথাড়ি কোপে নাজমা’র মাথার পিছনে গুরুত্বর আহত হয়, তাকে বাচাঁতে আপন বোন মাসুদা এগিয়ে আসলে তার উপরেপ আক্রমণ চালায় আবুকালম ও আফজাল ও তার স্ত্রী তানিয়া, এসময়ে মাসুদার ডান হাতে গুরুত্বর আহত হয়। বর্তমানে আহত দুই বোন গলাচিপা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন।
আহত ভূক্তভোগী মাকসুদা জানান, দেশের চলমান অস্থিরতার কারনে থানায় গিয়েও কোন সমাধান পাইনি বলে গামাধ্যকে জানান, এছাড়া আমার স্বামী আবুকালাম একজন স্বার্থলোভি মানুষ। আমার দুই প্রবাসী ভাই, অনেক কষ্ট করে শ্রীনাথ বাজারে দোকান ঘর করেছে, এখন সেই দোকান ঘর জবরদখল করে নেয়ার পায়তারা করছে, যার ফলে বর্তমান পরিস্থিতি। যানিনা সামনে কি অবস্থায় দিন পার করবো।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন টিটু জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি, তবে, ঘটনার যা বিবরণ শুনেছি তা অত্যান্ত দুঃখজনক। তারা সবাই এক’ই পরিবারের সদস্য। বিষয়টি মিমাংশা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।