
শীতের পথ
কবি জামাল
মিষ্টি বায়ু তৃষ্ণা মিটিয়ে
শীতের তাড়নে ঢুকে
গতি মেখে শয়ন জেগে
উঁকি মারে চোখে।
শন শন বায়ু তীব্র তিক্ত
তাপেতে যেন উম
মুধুর স্বাদে বিমোহিত মন
কাঁথাতে মিলে ঘুম।
প্রভাত লগ্নে রোদ্দুর আলোতে
ভিড় জমিয়ে হাসে
ছায়াটা যেন ঢের বিরক্তি
কপাল কুচকে আসে।
শীতের আমেজ লাগলেই গাঁয়ে
ধুমিয়ে চলে পিঠা
খেজুর গুড় আর রসের হাঁড়ি
লাগে চলের গুড়া।
হরেক রকম প্যাঁচাল গুনতে
সরিয়ে এলো সেসব
এখনতো সব হাতের নাগালে
কেন খুঁজবে ঐসব।
ভোরের বাতি নিবু নিবু
শিশির ঝরে বেশ
সবুজ তৃণ মসৃণ হয়
সতেজে সাজিয়ে রেশ।
শীতের পথে ভেজায় পাদুলি
শিশির ভেজা ঘাসে
শীতল হাওয়ায় মাতিয়ে তুলে
নব্য ভূবন সাজে।
কত স্বাদে আর কত মস্তিতে
কাটে আমাদের জীবন
রাস্তার পাশে বস্তির কথা
আছে কী তোমার স্মরণ।
জীবন তাগিদে ছুটে চলা পথ
পাড়িতে হয়না শেষ
নির্ঘুম রাত কেটে যায় শত
বস্ত্রের অভাব বেশ।
এমন শীতে নেইকো কম্বল
নেইকো জামা ভারি
শীত কাঁপুনি সইছে ধুঁকছে
দিচ্ছে নিজেকে ঝারি!
কারো কাছে যা স্বাচ্ছন্দ
আর লাবন্যতে ঢের
কারো কাছে তা দুখের পাহাড়
বুক ভারি করা শের।
হইতো যদি এমন কিছু
থাকবেনা কেউ রাস্তায়
বস্ত্র থাকবে সবার তরে
শীত নিবারন কাঁথায়।
দলে দলে সবে বাঁচবো হেসে
মরবোনা তো ধুঁকে
জাতি আমরা স্নেহকোল ঘেঁষে
মিশবো সুখে দুখে।