সবার কথা বলে

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

0 31

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার – সংবাদের পাতা:

সম্প্রতি The Dhaka News নামে একটি অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের জাতীয় ক্যাটাগরিতে “স্টাফ রিপোর্টার মামুন রাফী ” কর্তৃক নিঝুম দ্বীপের মানুষের ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট,মানুষের কাছে চাঁদার দাবি অভিযোগ শিরোনামে প্রকাশিত তথ্যকথিক সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।সংবাদটির প্রতিটি শব্দ ও বাক্য একেকটি মিথ্যার অপমান মাত্র। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মন গড়া,ভুয়া ভিত্তিহীন এবং তথ্য প্রমাণ বিহীন। সংবাদটি প্রকাশ করে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য অপচেষ্টা করা হয়েছে।সংবাদে আমার নামের সাথে প্রতিবেদকের যে দীর্ঘ মন্তব্য তার সাথে আমার কোন মিল নেই। এছাড়া নিঝুম দ্বীপ নামার বাজার চার-পাঁচটা দোকান ভাঙচুর এবং উপরে বাজার ও সৎফুল বাজার গিয়ে একজনকে মারধর করছে, দূর্বৃত্তরা।দোকানদার নাহিদের দোকান ভাঙচুর করছে এবং বাসের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে এছাড়া দোকানদার নাহিদ থেকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন মুখোশদারী বিএনপির নাম বিক্রি করে লোকজন। না হয় ব্যবসা করতে দিবে না বলেও হুমকি দেয় জানিয়েছেন নিঝুম দ্বীপের ব্যবসায়ীরা আমাকে।আমি সাথে সাথে সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করি বিদায় আমি দোষী হলাম।

নিঝুম দ্বীপে পর্যটকদের ঘুরতে নিয়ে যাবার সময় ট্রলার থেকে,প্রতি টিপে ১০০ টাকা চাঁদা নেন কেবা কারা তাও আমি জানিনা আর নিঝুম দ্বীপ থেকে মনপুরা নিয়ে গেলে ২০০ টাকা দিতে হয়,এটা মিথ্যা কথা এবং এই চাঁদাবাজিটা আগে আওয়ামী লীগ করত আর এখন আমাদের বিএনপির নাম করে বর্তমান সভাপতির লোকজন চাঁদা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে মাঝিরা।

সম্প্রতি নামার বাজার, বন্দরটিলা বাজারের থেকে এলাকার বিএনপির বেশ কিছু লোকজন গিয়ে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে ব্যবসা দখলে নেয়ার চেষ্টা এবং জাল দোকানদারদের কাছে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে,কিন্তু সুবিধা করতে না পেরে সেখানে তার লোকজন দিয়ে আন্দোলন করাবেন বলে হুমকি দিয়ে আসেন নিঝুম দ্বীপের বিএনপির সভাপতির লোকজন।
আমি বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি পদে আছি যারা বলে আমি আওয়ামী লীগ করতাম তাহলে আমি কিভাবে বিএনপির সহ-সভাপতি হলাম। আমি বিগত ২০১৬ সালে ধানের নির্বাচন করেছি ৩ হাজার ভোট পেয়েছি,তাহলে আমাকে তারা কেন আওয়ামী লীগ বলে,আমি কি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। আমার ব্যবসা বাণিজ্য নষ্ট করার জন্য এক ধরণের ভুয়া বিএনপির লোকজন লেগে পড়েছে।আমি কোন চাঁদাবাজি করি না। আমি ব্যবসা করে খাই। নিঝুম দ্বীপে আমার বিরুদ্ধে কোন চুরি,ডাকাতি,সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, এধরনের অত্যাচার করছি এমন কোন প্রমাণ নেই, কেউ দেখিনি এবং কেউ বলতে পারবে না।

৫ আগস্টের পরে আমি সাবেক বিএনপির এমপি মোহাম্মদ ফজলুল আজিম সাহেবের নামে নিঝুম দ্বীপে ৩ টি ক্লাব করেছি,আমার পকেটের টাকা দিয়ে কারো থেকে চাঁদাবাজি করি নাই।আমার টাকা আছে আমি কেন চুরি,চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী করবো।যাদের অভাব আছে,লোভ আছে তারা এসব করবে।

হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের বিএনপি নেতাকর্মীরা জানে, আমি ইব্রাহিম পার্টি বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচীতে আসতাম এবং বিএনপির জন্য আমি ব্যাপক টাকা ব্যয় করি। এতদিন আমি আওয়ামী লীগের ভয়ে ব্যবসা করতে পারিনি।
এখন হঠাৎ করে আমাদের কিছু বিএনপির নেতা আছে।তারা সুবিধাবাদী লোক বিএনপি সরকার আসলে আমরা রাতারাতি বদলে যাবো।এছাড়া আওয়ামী লীগের আমলে নিঝুম দ্বীপের চেয়ারম্যান দিনাজ নিঝুম দ্বীপ নামার বাজারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মিটিং করতো, সেখানে সকল ব্যবসায়ীদের ডাকতো আমি ও যেতাম। না গেলে তো আমার ব্যবসা বন্ধ করে দিবে।এখন তাই বলে আমি কি আওয়ামী লীগ।অনেকে মোবাইলে ছবিও করতো।সেই ছবিতে আমাকে দেখা যেতো। এখন ৫ আগষ্টের পর এসব ছবি দিয়ে আমাকে ব্লাকমেল করতে চাই।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার আমাদের দলের জন্য কোন টাকা পয়সা খরচ করতে দেখিনি। বিএনপির কোনো অঙ্গ সংগঠনের লোকজন তার সাথে নেই। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম করে সে।আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো বলে শুনার সাথে সাথে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অনলাইন পত্রিকাতে নিউজ প্রকাশিত করেন।তিনি মনে করেন টাকা দিয়ে মিথ্যা নিউজ প্রকাশিত করলে আমাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করবে।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আশ্রাফকে আমার পিছনে লাগিয়ে দিয়েছে।বিএনপির কোনো অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে লোকজন যেন আমাকে রেখে চলে যায়।সে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যাতে আমি যেন বিএনপি না করি।

আমার সাথে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক খোকন ভাইয়ের সম্পর্ক কম। আমি প্রকৌশলী ফজলুল আজিম এমপির লোক বলে তারা নানান ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করার জন্য। কিন্তু তারা জানে আজিম সাহেব আমাকে অনেক ভালোবাসে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের এসব লোকজন এখন বিএনপিতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এদের বিষয়ে আমি সতর্ক করলে খারাপ হয়ে যায় বর্তমান নিঝুম দ্বীপের বিএনপির সভাপতির নিকট।সে পারে না আমার ব্যবসা বাণিজ্য দখল করে নিয়ে যেতে।শুধু আজিম সাহেবের কারণে পারে না। না হলে আমাকে সন্ত্রাসী দিয়ে মেরে ফেলতো।আমি এখন খুবই ভয়ে দিন কাটাতে আছি। আমি একটা কথা বলবো সবাইকে আসুন সবাই মিলে সব কিছু ভুলে গিয়ে বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করে তুলি।জন নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে চলি।সুন্দর একটা দেশ গড়ি।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.