
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম, এ, জি ওসমানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান।
মোঃ এহছানুল হক – সংবাদের পাতা:
১৬ ফেব্রুয়ারি রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন (রাওয়া) এর উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম, এ, জি ওসমানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় রাওয়া’র হেলমেট হলে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লে. জেনারেল এম নুরুদ্দিন খান, পিএসসি (অব.)। তিনি তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম, এ, জি ওসমানীর নেতৃত্বের গুরুত্ব এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। লে. জেনারেল নুরুদ্দিন খান বলেন, “জেনারেল এম, এ, জি ওসমানী শুধু একজন দুরদর্শী সেনা কর্মকর্তা ছিলেন না, তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রণনীতি ও শত্রু মোকাবেলায় অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তার নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পথ সুগম হয়েছিল।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাগণ, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্মৃতি এবং জেনারেল ওসমানীর সঙ্গে তাদের একাত্মতার কথা আলোচনা করেন। তারা বলেন, “জেনারেল ওসমানী ছিলেন একজন আদর্শিক নেতা, যিনি তার বিচক্ষণতা, সাহস এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে অমূল্য অবদান রেখেছেন।”
আলোচকগণ জেনারেল এম, এ, জি ওসমানীর বর্ণাঢ্য জীবনকর্ম ও তার মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের উপর আলোকপাত করেন। তারা উল্লেখ করেন, জেনারেল ওসমানী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে তার নেতৃত্বের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্মুখ যুদ্ধে সফলতা অর্জন করেছিলেন এবং দেশকে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন একজন কৌশলী নেতা, যিনি দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তার জীবনের সবচেয়ে বড় ত্যাগ স্বীকার করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জেনারেল এম, এ, জি ওসমানীর আত্মার শান্তি এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।