
শরীয়তপুুরের নড়িয়াতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ – প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীদের সমাগম।
এম এ জব্বার – সংবাদের পাতা:
সূর্যমুখী একধরনের একবর্ষী ফুলগাছ। সূর্যমুখী গাছ লম্বায় ৩ মিটার থেকে (৯.৮ ফুট) হয়ে থাকে, ফুলের ব্যাস ৩০ সেন্টিমিটার বা (১২ ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়। এই ফুল দেখতে কিছুটা সূর্যের মত এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এর এরূপ নামকরণ।
তবে সূর্যমুখীর বীজ হাঁস মুরগির খাদ্যরূপে ও তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই বীজ যন্ত্রে মাড়াই করে তেল বের করা হয় ৷ তেলের উৎস হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হয়। সমভুমি এলাকায় শীত ও বসন্তকালে, উঁচু লালমাটি এলাকায় বর্ষাকালে ও সমুদ্রকুলবর্তী এলাকায় শীতকালীন শস্য হিসাবে চাষ করা হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে সূর্যমুখী একটি তেল ফসল হিসেবে বাংলাদেশে আবাদ হচ্ছে। বর্তমানে রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, নাটোর জেলা, পাবনা, দিনাজপুর, গাজীপুর, টাংগাইল প্রভৃতি জেলাতে এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে।
তবে শরীয়তপুর জেলায় সূর্য্যমুখী ফুলের চাষ আবাদ তেমন বেশী না হয়ে থাকলেও – নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সিংহলমুড়ী গ্রামে প্রায় ৬ বছর যাবদ এই ফলনের চাষ করে আসছেন কৃসক নূর মোহাম্মদ কত্তাল। প্রায় ৪৮ কড়া জমির উপর এই সূর্য্যমুখী ফুলের চাষ করে আসছেন তিনি।
তবে কৃষকের অভিমত ফলনে বিভিন্ন সময় সমস্যা দেখা দেয়, যদি উপজেলা কৃষি অফিসারদের সঠিক পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকেন আগামিতে আরো ফলন সমৃদ্ধি বিকাশ পাবে বলে তিনি জানান।
শুধু তাই নয় এই সূর্য্যমুখী ফুল চাষে পেয়েছে অএ এলাকয় দর্শনার্থীদের সমাগম। বিকেল গুড়ুতেই দেখা মিলে বিভিন্ন ছেলে মেয়েদের ও প্রতিবেশীদের সমাগম।
কেহ সেলফি তুলেন কেহ বা প্রকৃতির রুপ ধারন উপভোগ করতে আসেন।
উল্লেখ আছে – সূর্যমুখীর তেল ঘিয়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা বনস্পতি তেল নামে পরিচিত। এই তেল অন্যান্য রান্নার তেল হতে ভাল এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যন্ত কম। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, ডি ও ই রয়েছে।