
যাত্রাবাড়ীতে স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এম এ জব্বার – সংবাদের পাতা:
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী জাগো নিউজ এর স্টাফ রিপোর্টার (সচিবালায় বিটে কাজ করা) ইসমাইল হোসেন রাসেল ও দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আকাশ এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার দনিয়া কলেজের পাশে অন্বেষা ফ্যাক্টরির গলি হাবিব লাইট ফ্যাক্টরিতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানাগেছে, হাবিব লাইভ ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো রেজাউল নামের এক কর্মচারী। ফ্যাক্টরির কর্তৃপক্ষের লোকজন রেজাউলের কয়েক মাসের বেতন আটকে দেয়।
ওই কর্মচারী বেতন চাইতে গেলে তার উপর নির্মমভাবে নির্যাতন করে ফেক্টুরীর লোকজন।
বিষয়টি জানার জন্য রেজাউলের ভাই জাগো নিউজ এর রিপোর্টার (সচিবালয় বিটে কাজ করা) ইসমাইল হোসেন রাসেল ও দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার রাসেলের মামাতো ভাই সোমবার বিকেলে ওই ফ্যাক্টরিতে যান।
এসময় ফেক্টুরীর লোকজন তাদেরকে অকথ্যভাষায় গালীগালাজ করে।
বাধ্য হয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে অবগত করেন। যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। বিষয়টি দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আকাশকে জানালে তিনিও হাবিব লাইট কারখানায় যান এবং বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন।
এসময় কারখানার ম্যানেজার ৫০ থেকে ৬০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার ইসমাইল হোসেন রাসেল ও আনোয়ার হোসেন আকাশ এর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে।
এসময় যাত্রাবাড়ী থানার এসআই রফিককে সাংবাদিকরা বারবার অনুরোধ করেন তাদেরকে ফেক্টুরী থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। অদৃশ্য কারণে এস আই রফিক তাদেরকে হাসপাতালে যেতে ব্যবস্থা না করে বিষয়টি ফেক্টুরীর ভিতরে সমাধান করার কথা বলেন।
বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে কারখানার লোকদের কথা মতো এস আই রফিকের সামনে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখতে বাধ্য হয় যে, এই কারখানায় কোনো মারামারি হয় নাই , কথা কাটাকাটি হয়েছিল, বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তির সামনে সমাধান হয়েছে।
এই লিখিত দেওয়ার পর এস আই রফিক সাংবাদিকদেরকে কারখানার বাইরে নামিয়ে দিয়ে আবার ঐ কারখানায় যান। বর্তমানে সাংবাদিকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসধীন।
জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের সদস্য ইসমাইল হোসেন রাসেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক ।